মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এই হোটেল বয়ের পরামর্শেই ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ করেছিলেন শচীন!!


প্রকাশের সময় :২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ৬:০৫ : পূর্বাহ্ণ

নিউজ-ডেস্ক:

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০১ সালে চেন্নাইয়ে টেস্ট খেলেছিল ভারত। এই টেস্টে সেঞ্চুরিও করেছিলেন শচীন। চেন্নাইয়ের বিখ্যাত ‘তাজ করমন্ডল’ হোটেলে উঠেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। হোটেলের রিসেপশনে ফোন করে ঘরে কফি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন শচীন। সেই সময় যে ওয়েটার তার রুমে কফি নিয়ে এসেছিলেন, শচীনকে খেলা সংক্রান্ত এক মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এর পরে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরিও করেছিলেন শচীন।

শচীনের ভাষায়, ‘অযাচিতভাবেই ওই ওয়েটার আমাকে বলেছিলেন, আমি আপনার সঙ্গে একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই। আমি বেশ কিছুটা অবাক হয়ে যাই। তারপরও তাকে বলি- বলুন কী বলবেন। তখন ওই ওয়েটার বলে, আমি আপনার ভক্ত। আপনার এক একটা শট আমি অন্তত ৫-৬ বার করে রিওয়াইন্ড করে দেখি। কিন্তু সম্প্রতি দেখেছি, আপনি যখন এলবো গার্ড পরেন, তখন আপনার ব্যাটের সুইং বদলে যায়।’ এ কথা শুনে প্রথমে সম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন।

ছেলেটির কথা শোনার পর বিষয়টি সত্যি মনে হয়েছিল লিটল মাস্টারের। তখন তিনি ছেলেটিকে বলে, ‘একদম ঠিক। তুমি বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি, যে এই ভুলটা ধরতে পারলে।’ শচীনের ভাষায়, ‘আপনারা হয়তো বিশ্বাস করবেন না, আমি মাঠ থেকে হোটেলে ফেরার পরে এলবো গার্ডটা নিয়ে পরেছিলাম। তারপর গার্ডের ডিজাইন বদলে ফেলেছিলাম। সঠিক মাপ, কোথায় বেশি প্যাডিং হওয়া উচিত, গার্ডের স্ট্র্যাপটা কোথায় থাকবে, এসব নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করি।’

এতদিন পর সম্প্রতি টুইট করে চেন্নাইয়ে ওই হোটেল সেই তরুণের কথা জানতে চান শচীন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেন, ‘আমি জানি না ওই ছেলেটি এখন কোথায় আছে। ওর সঙ্গে দেখা করার খুব ইচ্ছা আমার। সোশ্যাল মিডিয়া কি সেই ছেলেটিকে খুঁজে পেতে আমাকে সাহায্য করবে?’ কয়েকঘণ্টা পরেই জানা যায় তামিলনাড়ুর পেরামবুরের বাসিন্দা সেই হোটেল বয়ের নাম গুরুপ্রসাদ। তিনি তো শচীনের এই আহ্বান দেখে হতবাক হয়ে যান। তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না, প্রায় দুইদশক আগের ঘটনা এখনও মনে রেখেছেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।

শচীনের বক্তব্য জানার পরে আবেগে আপ্লুত হয়ে গুরুপ্রসাদ বলেন, ‘আমি ওই হোটেলের ওয়েটার ছিলাম। হোটেলের লবিতে শচীনের থেকে স্বাক্ষর নিতে গিয়েছিলাম। তখনই শচীনের অনুমতি নিয়ে ওকে এলবো গার্ডের ব্যাপারটা বলি।’

ট্যাগ :