ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ
প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের আগের ছয় আসরে কোনোবারই ফাইনাল খেলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের দল নতুন ইতিহাস লিখল। ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড।
এদিন আবুধাবিতে টস হারে ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। আবুধাবিতে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৬৬ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে ড্যারিল মিচেলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৬ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে কিউইরা।
জয়ের লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওপেন করতে নামেন মার্টিন গাপটিল ও ডারিল মিচেল। প্রথম ওভারেই ক্রিস ওকসের বলে মঈন আলীর হাতে ধরা পড়েন মার্টিন গাপটিল। ১ বাউন্ডারির সাহায্যে ৩ বলে ৪ রান করে ক্রিজ ছাড়েন গাপটিল। ৪ রানে ১ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচের তৃতীয় ওভারে ওকসের দ্বিতীয় শিকার হন কিউই দলপতি কেন উইলিয়ামসন। আদিল রশিদের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ১১ বলে ৫ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান তুলে নিউজিল্যান্ড।
তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া নিউজিল্যান্ডকে টেনে তুলেন মিচেল-কনওয়ে জুটি। কনওয়ে ফেরার আগে দুজনের জুটিতে উঠে ৮২ রান। দলীয় ৯৫ রানে লিভিংস্টোনের বলে বাটলারের তালুবন্দী হন কনওয়ে। ৫ চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ৪৬ রান করে আউট হন তিনি।
ষোলতম ওভারে কিউই শিবিরে ফের আঘাত হানেন লিভিংস্টোন। তার বলে বিলিংসের হাতে ধরা পড়েন গ্লেন ফিলিপস। ৪ বলে ২ রান করে ক্রিজ ছাড়েন তিনি।
১৭ ওভারে জর্ডানকে দুইবার সীমানার বাইরে উড়িয়ে মেরে জিমি নিশাম-মিচেল তুলে নেন ২৩ রান। তাতেই জয়ের অনেক কাছে পৌছে যায় নিউজিল্যান্ড। উল্টো চাপে পড়া ইংলিশ বোলাররা অবশ্য ঠিকঠাক কাজ করতে পারেননি। ১৯ তম ওভারে টানা দুই ছয়ে ম্যাচ হাতের মুঠোয় আনেন মিচেল। ওই ওভারের শেষ বলে চার মেরে দলের জয়ও নিশ্চিত করন তিনি।
এর আগে টস হেরে ইংল্যান্ডের হয়ে ওপেন করতে নামেন বেয়ারস্টো ও বাটলার। দুজনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা আসলেও ষষ্ট ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। অ্যাডাম মিলনের বলে কেন উইলিয়ামসনের তালুবন্দী হন জনি বেয়ারস্টো। ২ বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ বলে ১৩ রান করেন তিনি। পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তুলে ইংল্যান্ড।
দলীয় ৫৩ রানে কিউই স্পিনার ইশ সোধির ঘুর্ণিতে পরাস্ত হন চলমান বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান জশ বাটলার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ৪ বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ বলে ২৯ রান করে মাঠ ছাড়েন বাটলার।
ষোলতম ওভারে ডেভিন মালানকে থামান টিম সাউদি। কনওয়ের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩০ বলে ৪১ রান করেন মালান। শেষ ওভারে জিমি নিশামের বলে স্যান্টনারের হাতে ধরা পড়েন লিয়াম লিভিংস্টোন। ১ চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ১৭ রান করেন লিয়াম। ৩ট চার ও ২ ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মঈন আলী। নিশামের বলে চার মেরে অর্ধশতরানের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেন ব্রিটিশ অলরাউন্ডার। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১৬৬ রান।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইংলিশদের হয়ে খেলেননি দলটির অন্যতম ওপেনার জেসন রয়। তার জায়গায় খেলেছেন স্যাম বিলিংস। এদিকে অপরিবর্তিত দল নিয়ে খেলেছেন কিউইরা।