ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ
স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ আর্জেন্টিনার কাছে হারের পরও লেওয়ানডস্কিদের মুখে হাসি। হাসি মুখে তারা একে অপরের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করছে। মেসিদের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন তারা।
কেন? কারণটা জানা গেলো পরক্ষণেই। মেক্সিকো সৌদি আরবের বিপক্ষে জিতলেও ব্যবধান ছিল ২-১। গোল ব্যবধানে পোল্যান্ড এগিয়ে। আর এই এগিয়ে থাকার ফলেই আর্জেন্টিনার কাছে হেরেও দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেলো রবার্ট লেওয়ানডস্কিরা।
মূলত গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে পোল্যান্ড গোল দিয়েছে ২টি। হজমও করেছে ২টি। মেক্সিকোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র এবং সৌদি আরবকে তারা হারিয়েছিলো ২-০ গোলে। আর্জেন্টিনার কাছে হারলো ২-০ গোলে। এর ফলে পোল্যান্ডের গোল ব্যবধান দাঁড়িয়েছিলো শূন্য। প্লাস এবং মাইনাস সমান তাদের।
অন্যদিকে মেক্সিকো প্রথম ম্যাচে গোল দেয়ওনি, হজমও করেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে হেরেছে ২-০ গোলে। অর্থ্যাৎ গোল ব্যবধানে পিছিয়ে (-২) ছিলো তারা। সৌদি আরবের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ২ গোল দেয়ায় তাদেরও গোল ব্যবধান শূন্যতে চলে এসেছিলো। কিন্তু সর্বনাশটা ঘটে শেষ মুহূর্তে সৌদির কাছে একটি গোল হজম করায়।
এর অর্থ, মেক্সিকোর গোল ব্যবধান দাঁড়িয়েছিলো ১টি কম (-১)। অর্থ্যাৎ পোল্যান্ড গোল হজম করেছে ২টি আর মেক্সিকো হজম করেছে ৩টি। এই ব্যবধানেই মেক্সিকোর বিদায় ঘটেছে এবং পোল্যান্ড আর্জেন্টিনার কাছে ২-০ গোলে হেরেও উঠে গেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে।
যদি মেক্সিকো শেষ মুহূর্তে ওই গোলটি হজম না করতো, তখন দুই দলের গোল ব্যবধান সমান থাকলেও পোল্যান্ড উঠতো দ্বিতীয় রাউন্ডে। কিভাবে? মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডের পয়েন্ট এবং গোল ব্যবধান সমান হলে ফিফার ভিন্ন এক নিয়মে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যেতো পোল্যান্ড।
কারণ, হলুদ কার্ড বেশি দেখেছে মেক্সিকো। তারা ৭টি হলুদ কার্ড দেখেছে। অন্য দিকে ৫টি হলুদ কার্ড দেখেছে পোল্যান্ড। হলুদ কার্ডের এই পার্থক্যের কারণে বিদায় ঘটতো মেক্সিকোর। তবে সে হিসেবে যেতে হয়নি সৌদি আরবের শেষ গোলটার কারণে।