ক্রীড়া প্রতিবেদক:
বৃষ্টিতে ভেসে গেছে দ্বিতীয় ম্যাচ। তাই আয়ারল্যান্ডকে দ্বিতীয়বার ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিং-বোলিং বা ফিল্ডিং; তিন বিভাগেই আইরিশদের রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচে একবারের জন্যও চালকের আসনে বসতে পারেনি সফরকারীরা। এমন একটি সিরিজ শেষ করে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টি তামিম ইকবালের কণ্ঠে।
সিলেটের মাঠে হওয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ গড়ে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩৮ রানের রেকর্ড। অভিষেকে দারুণ ইনিংস খেলেন তাওহিদ হৃদয় (৮৫ বলে ৯২), সাকিব আল হাসান রাখেন অভিজ্ঞতার ছাপ (৮৯ বলে ৯৩), ঝড় তোলেন মুশফিকুর রহিম (২৬ বলে ৪৪)।
পরে ইবাদত হোসেন (৪২ রানে ৪ উইকেট), নাসুম আহমেদের (৪৩ রানে ৩ উইকেট) দারুণ বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে স্রেফ ১৫৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ পায় নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যবধানে (১৮৩ রানে) জয়। ম্যাচে গ্লাভস হাতে মুশফিক নেন বাংলাদেশের রেকর্ড, ৫টি ক্যাচ।
বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও রেকর্ড গড়েন মুশফিক, এবার ব্যাট হাতে। স্রেফ ৬০ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে গড়েন বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। সঙ্গে লিটন দাস (৭০), নাজমুল হোসেন শান্ত (৭৩), হৃদয়দের (৪৯) কার্যকরী ইনিংসে দলের সংগ্রহ পৌঁছায় ৩৪৯ রানে। অর্থাৎ এক ম্যাচের ব্যবধানে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড নতুন করে লেখে তামিমের দল।
ওই ম্যাচে বোলিং করতে না পেরে হয়তো উইকেটের ক্ষুধা একটু বেশিই বেড়ে যায় দলের পেসারদের। বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ ম্যাচে তাদের আগুনে পুড়েছে আইরিশরা। তিন পেসার মিলেই নিয়েছেন পুরো ১০ উইকেট, যা কোনো ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জন্য প্রথম।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করা হাসান মাহমুদ ৩২ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। তাসকিন আহমেদের শিকার ৩টি। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া ইবাদত এবার ঝুলিতে জমা করেন ২টি উইকেট।
পেসারদের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পর স্রেফ ১০২ রানের লক্ষ্যে কোনো উইকেটই পড়তে দেননি তামিম ও লিটন দাস। যার সৌজন্য বাংলাদেশ পায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের প্রথম ১০ উইকেটের জয়।
ব্যাটিং-বোলিংয়ের দাপটের এই সিরিজে ফিল্ডিংয়েও কোনো বড় ভুল করেনি বাংলাদেশ। আনুষ্ঠানিক হিসেবে তিনটি ক্যাচ মিসের হিসেব উঠলেও, আসলে তিনটিই ‘হাফ চান্স’ ছিল। যা ধরতে পারলে হতো দারুণ ক্যাচ।
তিন বিভাগে এমন নিখুঁত প্রদর্শনীর পর সিরিজ জিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে তামিমও শোনালেন নিজের সন্তুষ্টির কথা।