যশোর প্রতিনিধিঃ
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস রুখতে আমরা লড়ছি অদৃশ্য শত্রুর সাথে। এই অদৃশ্য শত্রুকে রুখতে আমাদের প্রয়োজন কিছু সুরক্ষা সামগ্রী। কিন্তু বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে এসব সুরক্ষা সামগ্রী।
পন্যের সংকট দেখিয়ে যশোরে বিক্রেতারা সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করছে অধিক মূল্যে।
করোনাকালে মানুষের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সামগ্রী হলো মাস্ক। কিন্তু মাস্কের দামের ক্ষেত্রে দেখা গেছে রকমফের। শহরের বঙ্গবাজারে কেএন-৯৫ মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা প্রতি পিস। একই মাস্ক চৌরাস্তা এলাকায় বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। মেডিকেল এন-৯৫ মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। সার্জিক্যাল মাস্কের দামেও দেখা গেছে বেশ তারতম্য। স্থানভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা প্রতি পিস দামে বিক্রি হচ্ছে।
দেশীয় কেরুজ কোম্পানির হ্যান্ডস্যনিটাইজার বিক্রি হচ্ছে ১০০ মি.লি ৬০ টাকা। যা সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ১০ টাকা বেশি। এছাড়াও সেপনিল, পিওরেল ইৎতাদি হ্যান্ডস্যনিটাইজার ২০০ মি.লি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা করে। কোম্পানী ভেদে ২৫০ মি.লি. হেক্সিসল বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা করে।
স্বাভাবিকের থেকে বেশি মূল্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে হ্যান্ডওয়াস, ব্লিচিং পাউডার, লিকুইড স্যাভলন। জীবাণুনাশক স্প্রে করার স্প্রেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দামে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ গুন বেশি দাম। দাম বেশির কারন জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান “যেমন দামে কেনা হচ্ছে তেমন দামেই বিক্রি হচ্ছে”।
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য এসব প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী অধিক মূল্যে বিক্রি হওয়ায় তা কিনতে হিমসিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ। যশোর শহরের বঙ্গবাজারে সরেজমিন তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে দেখা যায় ৫০ পিসের এক বক্স মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা। এসব ক্রেতারা জানিয়েছেন দ্রুতই বাজার মনিটারিং করে এসব পন্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সময়ের দাবি।