মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১১ দেশ থেকে আসছে ছয় লাখ টন পেঁয়াজ


প্রকাশের সময় :২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ৭:৫৩ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভারত হঠাৎ করে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় বিকল্প বাজারের দিকে হাত বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ১১টি দেশ থেকে পৌনে ছয় লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চলতি মাসে প্রথম ২০ দিনে এসব পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেন তারা। এত কম সময়ে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি সংগ্রহে এটি রেকর্ড বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্মকর্তারা। আগামী মাসের শুরু থেকে এসব পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

জানা গেছে, ১১টি দেশ থেকে সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশগুলো হচ্ছে- চীন, মিসর, তুরস্ক, মিয়ানমার, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইউক্রেন, ভারত ও পাকিস্তান।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার এ কেন্দ্র থেকে ৪ হাজার ২২৪ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ১৩টি আইপি ইস্যু হয়েছে।

৩ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬৫ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ৩০৫টি আইপি ইস্যু করেছে কেন্দ্রটি। 

কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসের শুরু থেকে ভারত রপ্তানি বন্ধের দিন (১৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা দুই লাখ ২৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেন। রপ্তানি বন্ধের পর রোববার পর্যন্ত চার কর্মদিবসে আরও সাড়ে তিন লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেন তারা।

অর্থাৎ এ মাসের ২০ দিনে মোট ৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী। এর মধ্যে গত ১৭ সেপ্টেম্বর একদিনে সর্বোচ্চ বা এক লাখ ৫৮ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন দুই শতাধিক ব্যবসায়ী। মোট ৮৩৫টি চালানে এসব পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনার কথা রয়েছে। এ সপ্তাহেই আমদানি অনুমতির পরিমাণ ছয় লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে।

এ বিষয়ে ঢাকার উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলছেন, যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেওয়া হয়েছে তা রেকর্ড। এসব পেঁয়াজ বাজারে আসলে কোনো সংকট থাকবে না।

ব্যবসায়ীরা জানান, রপ্তানি বন্ধের আগে ভারত থেকে এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে প্রায় ৪৫ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। স্থলবন্দরে আটকে থাকা আরও প্রায় ১৫ হাজার টন পেঁয়াজ এখন খালাস হচ্ছে।

এবার পেঁয়াজ আমদানিতে বিপুলসংখ্যক ব্যবসায়ী যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ছোট ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেশি। বড়দের মধ্যে চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপ গত রোববার নেদারল্যান্ডস থেকে ২২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি সংগ্রহ করেছে।

চট্টগ্রামের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, সংকট নিরসনে খাতুনগঞ্জের অনেক শিল্পগ্রুপ ও আমদানিকারকরা ভারতের বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছেন। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই এসব পেঁয়াজ আসার কথা রয়েছে।

অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, পেঁয়াজ সংকটকালে বিকল্প দেশ থেকে আমদানির পাশাপাশি দেশে উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। এর জন্য চাষিদের উন্নত বীজ সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা দিতে হবে।

ট্যাগ :