এম.এইচ মুরাদঃ
চড়া দামের ডিমে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। একমাস আগে খুচরায় এক হালি ডিমের দাম ছিল ৫০ টাকা। তবে মাসের ব্যবধানে তা নেমেছে ৪০ টাকায়। অর্থাৎ একমাসে প্রতিটি ডিমে আড়াই টাকা করে কমেছে। এখন ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যা ১৫০ টাকায় ঠেকেছিল।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম এখন ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম। ঢাকায় বাজারভেদে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা হালিতে, যা গত মাসে ছিল ৪৭-৫০ টাকা। যদিও বছরের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে। গত বছর এসময়ে প্রতি হালি ডিমের দাম ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকা।
রাজধানীর মধ্যবাড্ডার মজিদ স্টোরের বিক্রেতা সলিমউল্লাহ সোহাগ বলেন, ডিমের দাম গত দুই সপ্তাহ কমের দিকে। এখন ডিমের কোনো সংকট নেই, সরবরাহও প্রচুর। কিন্তু ক্রেতা বা ভোক্তা অনেক কম অর্থাৎ জোগানের তুলনায় চাহিদা অনেকটা কমে গেছে।
এদিকে, ঢাকার এবং চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীত মৌসুম চলে আসায় চাহিদা কমে যাওয়ায় ডিমের দামও পড়তির দিকে। আবার বিগত সময়ে ডিমের দাম বেশি থাকায় ওই সময় খামারিরা বেশি ডিমের মুরগি পালন করেছে, সেজন্য সরবরাহও ভালো।
চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজার ডিমের আড়তের পাইকারি বিক্রেতা সালাম মিয়া জানান, এখন পাইকারিতে প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিমের দাম ১১০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি একশো ডিম ৯১৫ থেকে ৯২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি একশো ডিমে ৬০-৮০ টাকা কমেছে।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জন্য এখন ডিমের দাম স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে এ দাম খামারিদের জন্য কম। কারণ এখন খাদ্যের দামের কারণে ডিম উৎপাদন খরচ অনেক বাড়তি।’