দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাদা এলাচ আমদানি বাড়ছে। দেশের বাজারে ভারতীয় এলাচের সরবরাহ বাড়ার কারণে খুচরা বাজারে কেজিতে ১৫০-২০০ টাকা করে কমেছে দাম। যেভাবে সরবরাহ বাড়ছে তাতে করে কোরবানির ঈদের আগে এলাচের দাম আরো কমার সম্ভাবনা আছে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থলবন্দর দিয়ে জানুয়ারিতে ৭৪ টন, ফেব্রুয়ারিতে ৯২, মার্চে ১৬৩, এপ্রিলে ১৫৪ ও মে মাসে ৭৬ টন এলাচ আমদানি করা হয়েছে। ১০ জুন পর্যন্ত ১৭ টন এলাচ আমদানি করা হয়েছে।
হিলি বাজারের মসলা দোকানি মিরাজুল ইসলাম বলেন, আগে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য স্থান থেকে মসলা কিনে হিলিতে বিক্রি করতে হতো। কিন্তু হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সাদা এলাচ আমদানি অব্যাহত। ফলে এখান থেকে আমরা কিনে বাজারে বিক্রি করছি।
বর্তমানে সাদা এলাচ প্রকারভেদে প্রতি কেজি ১ হাজার ৫৫০, ১ হাজার ৭০০, ২ হাজার ২০০, ২ হাজার ২৫০, ২ হাজার ৩০০ ও ২ হাজার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও ডলারের বাড়তি মূল্যের কারণে কেজিপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছিল।
এলাচ আমদানিকারক মনোনীত হিলি স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট আলম হোসেন বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় ঢাকা ও বগুড়ার আমদানিকারকরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাদা এলাচ আমদানি করছেন। তবে এর আগে এ বন্দর দিয়ে পণ্যটি আমদানি হয়নি বললেই চলে। ভারত থেকে প্রতি টন সাদা এলাচ ৭ হাজার ৪৫০ ডলার থেকে ৭ হাজার ৫০০ ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে, যা কাস্টমস ৭ হাজার ৫০০ ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করে ছাড় দিচ্ছে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান বলেন, বন্দর দিয়ে মসলা পণ্যের আমদানি আগের চেয়ে বেড়েছে। আগে তেমন এলাচ আমদানি না হলেও বর্তমানে বেড়েছে। ফলে রাজস্ব আহরণও বেড়েছে। বন্দর দিয়ে এলাচ আমদানিতে ৫৮ দশমিক ৬০ ভাগ শুল্কহার বিদ্যমান।
আমদানীকৃত প্রতি টন এলাচ ৭ হাজার ৫০০ ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। বন্দর দিয়ে দুইভাবে এলাচ আমদানি হচ্ছে। একটি সরকার আরোপিত শতভাগ শুল্ক দিয়ে, অন্যদিকে সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে সাফটার সুবিধা দিয়ে। এতে ব্যবসার জন্য নিয়ে আসা প্রতি টন এলাচে ৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া সাফটার সুবিধা দিয়ে আনা এলাচে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে শুল্ক আদায় করা হচ্ছে।