চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
একদিন বন্ধ থাকার পর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ৫১টি ভারতীয় পেঁয়াজের ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকেছে। এখনও সীমান্তের ওপারে অপেক্ষায় আছে আরও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
বুধবার দুপুর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে।
বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার কামাল খান জানান, এদিন দুপুর দুইটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় রেকর্ড ৫১টি ভারতীয় পেঁয়াজের ও ৯টি আলুর ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। ৫১ টি ট্রাকে প্রায় এক হাজার ২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে।
তিনি জানান, এক ঘণ্টায় পেঁয়াজের রেকর্ড পরিমাণ ট্রাক প্রবেশ করছে। আমদানি-রপ্তানিকারকদের আন্তরিকতার মাধ্যমেই মূলত কোন পণ্য কী পরিমাণ বাংলাদেশে ঢুকবে তা নির্ধারণ হয়ে থাকে। ধারনা করা হচ্ছে, এ কারণেই বেলা দুইটা থেকে যেসব পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে, যার ৯০ ভাগই পেঁয়াজ, পাঁচ ভাগ আলু এবং অন্য পণ্য পাঁচ শতাংশ।
এদিকে স্থলবন্দর দিয়ে সারাদিনে ১০০ ট্রাকের বেশি আলু এবং ২ শতাধিক পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আরিশা ট্রেডার্সের মালিক আলমগীর জুয়েল বলেন, আলু আমদানির বিষয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সারাদিনে ১০০ট্রাকের বেশি আলু আমদানি হতে পারে।
ভারতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আরআই এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মো. ইকবাল হোসেন ফোনে জানান, চলমান জটিলতায় ভারতের মাহদীপুর এলাকায় ২৫০টি পেঁয়াজের এবং ১০০ আলুর ট্রাক আটকে রয়েছে। তবে ট্রাকের অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ থাকায় নতুন করে কোনো পণ্য ট্রাকে লোড করা হচ্ছেনা। বেলা ১২ টার পর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় থাকা এসব ট্রাক পাঠানো আরম্ভ হয়েছে।
এদিকে দেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত। আর আলু পাঁচ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। বুধবার সকালে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম আরও পাঁচ টাকা।
শিবগঞ্জ কাঁচাবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল বলেন, সোমবার ৭৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি করেছি। মঙ্গলবার কিনতে হয়েছে ৮০ টাকা কেজি। তাই বিকেল থেকে ৯৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। বুধবার কয়েকজনের কাছে পেঁয়াজ না পাওয়ায় আরও পাঁচ টাকা বেশি দিয়ে কিনলাম। তবে বন্দরে পেঁয়াজ আসার খবরে দাম না কমলেও স্থিতিশীল রয়েছে।