স্টাফ রিপোর্টার:
চলতি মাসের শেষের দিকে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এ ঈদকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই অস্থির হতে শুরু করেছে মসলার বাজার। এক মাস আগে একদফা দাম বাড়ার পর নতুন করে দশ রকমের মসলার কেজিতে ৩০ থেকে ৪শ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে মাসের ব্যবধানে জিরা, ধনিয়া, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গসহ দশ ক্যাটাগরির মসলার দাম আরো বেড়েছে। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে মেথি ১৬০ টাকা, দারুচিনি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে পাঁচফোড়ন ২শ, তেজপাতা ২শ, ধনিয়া ২৪০ ও সরিষা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কেজিতে ১শ টাকা বেড়ে গোলমরিচ ১১শ টাকা, ১৩০ টাকা বেড়ে জিরা ৮৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া কেজিতে ৩শ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি লবঙ্গ ১৮শ ও এলাচের দাম ঠেকেছে ২৬শ টাকায়। তাছাড়া প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেটের সাধারণ সম্পদক মো. ইদ্রিস বলেন, ভারতের পেঁয়াজ এখনো খাতুনগঞ্জে প্রবেশ করেনি। পেঁয়াজ আসলে দাম কমে যাবে। পাশাপাশি আমদানি কম থাকায় মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। আশা করছি আমদানি বাড়লে দাম ক্রেতার নাগালে আসবে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ১৫ টাকা। বর্তমানে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা কেজিতে। পাশাপাশি সোনালি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি। বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৬০, বরবটি ৬০, চিচিঙ্গা ৭০, লাউ ৪০, পটোল ৬০, পেঁপে ৪০, লতি ৫০, টমেটো ৪০ ও ধুন্দল ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে মাছের বাজারে প্রতিকেজি কই ২৬০, পাবদা ৪শ থেকে ৪৫০, রুই ২৫০, কাতলা ৩শ, শিং ৩৫০, পাঙ্গাশ ২২০, টেংরা ৪৫০ ও চিংড়ি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা দোকানগুলোতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি খোলা ময়দা ৬৫ টাকা ও প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া খোলা আটা ৫৫ টাকা ও প্যাকেটজাত আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।