স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রাম নগরের খাতুনগঞ্জে ছুরিকাঘাতের দুইদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভ্যানচালক মো. মাসুদ (৪৫) মারা গেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে খাতুনগঞ্জে সব ধরনের পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত মাসুদ ভোলা জেলার দৌলতখান থানার চরখলিফা ইউনিয়নের মো. বেলায়েত হোসেন বেপারির ছেলে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক একাত্তর বাংলা নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় খাতুনগঞ্জের মাসুদ নামের এক শ্রমিককে আহতাবস্থায় চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে হাসপাতালে আইসিইউ’র ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল জাহিদুল কবীর একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, যেকোন প্রকার পরিস্থিতির সামাল দিতে আমাদের তিনটা টিম সকাল থেকে খাতুনগঞ্জে উপস্থিত আছে। এছাড়াও শ্রমিকদের সাথে আলোচনার চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত , গত ১৭ অক্টোবর খাতুনগঞ্জে তর্ক-বিতর্কের জেরে পিকআপ ভ্যানচালক মাসুদকে ছুরিকাঘাত করা হলে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এদিকে ঘটনার পরদিন মাসুদের ছেলে মো. বাবুল বাদী হয়ে মো. রাসেল (২৩), মো. সাদ্দাম (২৪) ও সোহাগ (২৩) ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।