মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংসারের খরচ সামলাতে পোষা প্রাণী তাড়িয়ে দিচ্ছে ব্রিটিশরা


প্রকাশের সময় :১৪ আগস্ট, ২০২২ ১:২৪ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সংসারের খরচ সামলাতে পোষা প্রাণী তাড়িয়ে দিচ্ছে ব্রিটিশরা
ব্রিটেনে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় খরচ কমাতে নিজেদের প্রিয় পোষা প্রাণীকে তাড়িয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার প্রাণীগুলোকে দিয়ে আসছেন পোষা প্রাণী পুনর্বাসন কেন্দ্রে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পোষা কুকুর ও বেড়ালকে ফেরত দেয়ার জন্য লন্ডনের পোষা প্রাণী পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোতে লোকজনের আনাগোনা রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে গেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় গত প্রায় ৬০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানকেই এর কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

পোষা প্রাণীদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে ফিরিয়ে দেয়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দক্ষিণপশ্চিম লন্ডনের ব্যাটারসি পুনর্বাসন কেন্দ্রের ম্যানেজার স্টিভ ক্র্যাডক।

কুকুর ও বেড়ালের পাশাপাশি সাপ ও সরীসৃপ জাতীয় অন্যান্য প্রাণী পোষার খরচও বেড়ে যাচ্ছে। এসব প্রাণী পুষতে দরকার বিশেষ আলো ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, যা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ।

রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি সরীসৃপ বিক্রির দোকানের বাইরে বালিশের ঢাকনার ভেতর তিনটি সাপ ফেলে রেখে যায় কেউ। এর মধ্যে ছিল আট ফুট লম্বা একটি বোয়া কনস্ট্রিকটর।

এমনিতেই পোষা প্রাণী প্রিয় জাতি হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশরা। করোনা মহামারির সময় লকডাউনে একাকিত্ব দূর করতে প্রাণী পোষা আরও বেড়ে গিয়েছিলো।

তবে গত দেড় বছরে বিদ্যুতের দাম তিনগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্রিটিশরা। এমন সময়ে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে অনেকেই প্রিয় পোষা প্রাণীটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া বা শেল্টারে পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

এই পরিস্থিতিতে জরুরি সহায়তা ফান্ডে অর্থ অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে পোষা প্রাণী পুনর্বাসন বিষয়ক দাতব্য সংস্থাগুলো। তবে অর্থনৈতিক দুরবস্থা অনুদানের ওপরও প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা তাদের।

ট্যাগ :