আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
শ্রীলঙ্কায় কয়েক সপ্তাহের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে আজ সোমবার সবচেয়ে বেশি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী কলম্বোর কাছে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর পর এক এমপিসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সহিংসতা বন্ধে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হলেও বিক্ষোভ–সহিংসতা বন্ধ হয়নি। দেশটির একজন আইনপ্রণেতা এবং সাবেক এক মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মাউন্ট লাভিনিয়া এলাকায় সাবেক মন্ত্রী জনস্টন ফেরনান্দোর আবাসিক ভবন ও বর্তমান এমপি সনাথ নিশানথার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ভিডিও ফুটেজে জ্বলন্ত ঘর থেকে আগুনের শিখা উঠতে দেখা গেছে।
শ্রীলঙ্কাজুড়ে আজ হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। বিক্ষোভ–সহিংসতার মুখে পদত্যাগ করেছেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে।
আজ প্রথমে মাহিন্দা রাজাপক্ষের সমর্থকেরা রড ও লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালান। এরপর দুই পক্ষের সহিংসতায় আরও দুজন নিহত ও দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
১৯৪৮ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়েছে শ্রীলঙ্কা। কয়েক মাস ধরে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে পড়েছে দেশটি। ভয়াবহ বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের কবলে পড়েছেন শ্রীলঙ্কাবাসী।
এর প্রতিবাদে মাসখানেকের বেশি সময় ধরে শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। গত ৯ এপ্রিল থেকে রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে আছেন বিক্ষোভকারীরা। আজ রাজধানীর বাইরে থেকে প্রধানমন্ত্রীর কয়েক হাজার সমর্থককে বাসে করে রাজধানীতে আনা হয়। তাঁরা প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের পাশে অবস্থান নিয়ে থাকা বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালান। তাঁদের তাঁবু ফেলে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারবিরোধী ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে অবস্থানরত ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালান তাঁরা।
সংঘর্ষ থামাতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে কলম্বোয় কারফিউ জারি করা হয়। পরে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়।