স্টাফ রিপোর্টারঃ
মালয়েশিয়া আগামী পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ কর্মী নিতে চায় বাংলাদেশ থেকে। দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এই মুহূর্তে ঢাকা সফর করছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, রিক্রুটিং এজেন্সিকে মাঝখানে না রেখে নিয়োগকর্তা কর্মীরা সরাসরি যাতে তাদের বেতন ডিজিটালি পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সামনে ৪৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ আছে বলে মনে করেন দেশটির মানবসম্পদবিষয়ক মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।
গণভবনে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।
কুশল বিনিময়ের পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর বাংলাদেশ সফরে আসায় মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার পরপর মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।’
২০২১ সালের ডিসেম্বরে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে চলমান জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ঢাকা সফরে আসা মালয়েশিয়ার মন্ত্রী।
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য দেশটি ৫ বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন তিনি। তাই শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে দেড় হাজার রিঙ্গিত করা হয়েছে বলেও জানান এম সারভানান।
আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ ৫ লাখ কর্মী পাঠিয়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলার আয় করার সুযোগ আছে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করতে তিনি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সমস্ত কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করেছে মালয়েশিয়া। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ করেন তারা।
রিক্রুটিং এজেন্সিকে মাঝখানে না রেখে কর্মীরা সরাসরি যাতে তাদের বেতন ডিজিটালি পাঠাতে পারে সেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা বাস্তবায়ন দেরি হওয়ার কারণে মানব পাচারের আশঙ্কা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন সারভানন।
টিকা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাসহ প্রয়োজনীয় সব প্রটোকল মেনে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর ব্যাপারে দেশটির সরকারকে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশা করেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিরাপদ, নিয়মিত, কম খরচে এবং সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার উপায় তৈরি করতে সক্ষম হবে দুই দেশ।
বেসামরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশি নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে মালয়েশিয়া সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।