আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মসজিদে নববীর ঘটনায় ইমরান খানসহ ১৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে পাকিস্তানে। এ ঘটনায় ইমরান-ঘনিষ্ঠ সাবেক এক মন্ত্রীর ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ জানিয়েছে, রোববার (১ এপ্রিল) ফয়সালাবাদের মদিনা টাউন থানায় সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মোহাম্মদ নাঈম নামে এক ব্যক্তি।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী ড. শাহবাজ গিল, জাতীয় পরিষদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি, জাতীয় পরিষদের সদস্য শেখ রশিদ শফিক, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী অনিল মুসারাতসহ আরও অনেকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মসজিদে নববীতে পাকিস্তানি হজপালনকারীদের কাজে বাধা দিতে পাকিস্তান থেকে ১৫০ জন ও লন্ডন থেকে আরও কয়েকজনের একটি দলকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগকারীর দাবি, পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
মামলার পরপরই ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমদের ভাইপো শেখ রশিদ শফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৌদি আরব থেকে ফিরে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শেখ রশিদ তার ভাইপোর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উমরাহ পালন শেষে ফেরার পরপরই শফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার পর বাড়িঘরে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে সম্প্রতি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন মুসলিম লীগ নেতা শাহবাজ শরিফ। সঙ্গে ছিলেন একঝাঁক মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও পরিবারের সদস্য। তিনদিনের সফরে গত বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সৌদিতে পা রাখেন তারা। পরে নামাজ পড়তে যান মসজিদে নববীতে। কিন্তু সেখানে অনভিপ্রেত ঘটনার সাক্ষী হতে হয় শাহবাজদের। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের দেখেই তুলকালাম শুরু করেন একদল পাকিস্তানি হজ পালনকারী।