মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কারণে মুসলমানদের অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ!! মোদিকে কড়া বার্তা মার্কিন সরকারের


প্রকাশের সময় :১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ৬:২৬ : অপরাহ্ণ

নিউজ-ডেস্ক:

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কারণে এ বার ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলমানদের অধিকার রক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল মার্কিন সরকার। মোদি সরকারের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ মেনে মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। ভারতের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই কড়া বার্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির কূটনৈতিক মহল।

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঘিরে কী কী ঘটছে, সে দিকে নজর রেখেছি আমরা। ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সকলের সমানাধিকারই আমাদের দুই দেশের গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি। ভারতের কাছে মার্কিন সরকারের আহ্বান, সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে তারা যেন দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করে।’

প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দিতে গত সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) পাশ করিয়ে নিয়েছে ভারত। বুধবার রাজ্যসভাতেও তা পাশ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাতে সই করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

শুরু থেকেই এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে মার্কিন কংগ্রেসের একটি অংশ। জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) পর দেশের সংখ্যালঘুকে নিশানা করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মোদি সরকার নাগরিক সংশোধনী বিল এনেছে বলে দাবি তাদের। তা নিয়ে সপ্তাহের শুরুতেই নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের বিরুদ্ধে সরব হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)। তারা জানায়, নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় মানদণ্ড বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিপজ্জনক। সংসদের দুই কক্ষে বিলটি পাশ হলে অমিত শাহ-সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো উচিত বলে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাছে সুপারিশও করে তারা।

সেইসময় ইউএসসিআইআরএফ-এর সুপারিশকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি ভারত। বরং তাদের মন্তব্য পক্ষপাতদুষ্ট বলে পাল্টা অভিযোগ তোলা হয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। টুইটারে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে সেইসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানান, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত তথ্য তৈরি করার অধিকার রয়েছে প্রত্যেক দেশের। তার জন্য বিভিন্ন নীতির মাধ্যমে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগেরও অধিকার রয়েছে। তার পরেই রাজ্যসভায় বিতর্কিত ওই বিলটি পাশ করিয়ে নেয়া হয়।

ভারতের এই বক্তব্য যে ভালভাবে নেয়নি মার্কিন সরকার, এ বারের বার্তায় তা স্পষ্ট করে দিয়েছে তারা। তাতেই ভারতের দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার ভারত সফর বাতিল করেন বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী। তার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ভারত সফরও আচমকা স্থগিত হয়ে যায়। তার মধ্যে মার্কিন সরকারের এই মন্তব্যে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের উপর চাপ আরও বাড়বে।

ট্যাগ :