আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছেন। এর মাধ্যমে মঙ্গলবার ট্রাস প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। ছয় বছরের চতুর্থ কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগে বাধ্য হওয়া বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ট্রাস। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার লিজ ট্রাস রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য রাজ পরিবারের স্কটিশ প্রসাদে যান। এসময় তিনি ৯৬ বছর বয়সী রানির কাছে সরকার গঠনের অনুমতি চান।
এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্রাসাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রানি এলিজাবেথের সঙ্গে লিজ ট্রাস সাক্ষাৎ করেছেন। রানি তাকে নতুন সরকার গঠনের অনুরোধ করেছেন। ট্রাস তার এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও ফার্স্ট লর্ড অব দ্য ট্রেজারি নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি রানির হাতে চুমু দিয়েছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গত ৭ জুলাই পদত্যাগের ঘোষণা দিলে ক্ষমতাসীন দর কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা ও নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর শেষ ধাপে সোমবার ৪৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিক কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হন। দলীয় ভোটাভুটিতে লিজ ট্রাস পেয়েছেন ৮১ হাজার ৩২৬ ভোট। আর তার প্রতিদ্বন্ধী ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯৯ ভোট। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন মোট ভোটারের ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করা লিজ ট্রাস বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। বামপন্থী পরিবারে জন্ম নেওয়া ট্রাস প্রথমে লিবারেল ডেমোক্র্যাট ছিলেন। তবে ২০১০ সালে তিনি কনজারভেটিভ পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ট্রাস ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন। তবে ব্রিটিশরা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিলে তিনি দ্রুত এর কট্টর সমর্থক হয়ে ওঠেন। এরপর ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লিজ ট্রাসকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে গঠিত প্রতিনিধি দলের প্রধান করেছিলেন। গত বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ট্রাস।