আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ।
শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে লক্ষ্য এই হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধ্য বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২২ জন নিহত এবং আরও ১১৭ জন আহত হয়েছেন বলে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বিবিসির সাংবাদিকরা দেশটির রাজধানীর ছোট শিয়া এলাকা বাচৌরাতে হামলার স্থান থেকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। পরে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীদের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে দেখা গেছে।
পরে অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে করে অনেক আহত ব্যক্তিকে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ইসরায়েলের এই হামলার স্পষ্ট লক্ষ্য ছিল ওয়াফিক সাফা। তিনি নিহত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর শ্যালক এবং শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর একজন উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তবে হিজবুল্লাহর মিডিয়া অফিস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিবিসি বলছে, বৃহস্পতিবারের হামলায় বাচৌরার দুটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা নুইরি এবং বাস্তার আবাসিক ভবনগুলোতে আঘাত হানে ইসরায়েল। লেবাননের রাজধানীতে তুলনামূলকভাবে দুদিন শান্ত থাকার পর হামলার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
হামলার বিষয়ে আগে থেকে কোনো সতর্কতা ছিল না এবং ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীও (আইডিএফ) এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ইসরায়েল বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির দাহিয়েহ এলাকার বাইরে বিমান হামলা চালাল। এছাড়া দাহিয়েহ এলাকায় সম্প্রতি ইসরায়েল বারবার আঘাত করেছে এবং হিজবুল্লাহ কমান্ডারদের হত্যা করেছে ও অস্ত্রের ভাণ্ডার ধ্বংস করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের বাইরে থাকা এক নারী জানান, বৃহস্পতিবারের এই হামলা ও বিস্ফোরণের সময় তিনি পাশের ভবনে ছিলেন। তিনি বলেন, হামলার শিকার বিল্ডিংটি ছিল সম্পূর্ণ আবাসিক এবং এটি প্রায় চার বা পাঁচ তলা উঁচু।
হামলায় তার এক আত্মীয় মাথায় আঘাত পেয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।