আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানোর পরিকল্পনার মধ্যেই বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনতে বলা হয়, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার এর দাম ৭০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি ৮২ দশমিক ১৭ ডলারে স্থির হয়েছে। এবং অপরিশোধিত ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) এর দাম ৮০ সেন্ট বা ১ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি ৮০ দশমিক ৭৯ ডলারে স্থির হয়েছে।
সাপ্তাহিক হিসাবে, ব্রেন্টের দাম শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং ডব্লিউটিআই এর দাম শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
এ সপ্তাহের তেলের বাজারকে স্মরণীয় উল্লেখ করে তেল বাজার বিশ্লেষক লুইস ডিকসন বলেন, তেলের দাম যে কেবল সরবরাহ-চাহিদা গতিপথ দিয়ে প্রভাবিত হয় না, বরং আর্থিক নীতির পূর্বাভাস এবং সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমেও প্রভাবিত হয় এটা তারই প্রমাণ। এসময় উচ্চ সুদের হার ডলারের দাম আরও বাড়াবে ও তেলের দাম আরও নিম্নমুখী হওয়ার চাপ প্রয়োগ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে সোমবার (৮ নভেম্বর) বাইডেন পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন ইউএস এনার্জি সেক্রেটারি জেনিফার গ্রানহোম। এদিকে প্রাইস ফিউচার গ্রুপের সিনিয়র বিশ্লেষক ফিল ফ্লিন বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি যে ঘোষণা যাই হোক না কেন তা দামের উপর একটি স্বল্পমেয়াদী প্রভাব ফেলবে, তবে অনিশ্চয়তার কারণে বাজার মূল্য কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরামকোর পরেই তেল উৎপাদনের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল কোম্পানি রাশিয়ার রোসনেফ্ট। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজারে একটি সম্ভাব্য সুপার সাইকেল সম্পর্কে সতর্ক করে করে গেলো শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রোসনেফ্ট জানায়, চাহিদা আর সরবরাহের সমন্বয় না থাকায় দাম বাড়ার শঙ্কা বাড়ছে।