স্টাফ রিপোর্টার:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের বৃহত্তম উন্নয়নসঙ্গী। তাদের স্বার্থকে ভারত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।’ শনিবার (২২ জুন) নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত এবং দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ ১০ চুক্তি-সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমি একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে চলেছে। সোনার বাংলাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী যে আমরা একসঙ্গে ‘উন্নত ভারত ২০৪৭’ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ অর্জনে সফল হব।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ও তার প্রতিনিধিদলকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘গত এক বছরে আমরা ১০ বার দেখা করেছি। তবে আজকের বৈঠকটি বিশেষ। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সরকারের তৃতীয় মেয়াদে প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের বৃহত্তম উন্নয়নসঙ্গী। তাদের স্বার্থকে ভারত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।’ শনিবার (২২ জুন) নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত এবং দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ ১০ চুক্তি-সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমি একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে চলেছে। সোনার বাংলাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী যে আমরা একসঙ্গে ‘উন্নত ভারত ২০৪৭’ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ অর্জনে সফল হব।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ও তার প্রতিনিধিদলকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘গত এক বছরে আমরা ১০ বার দেখা করেছি। তবে আজকের বৈঠকটি বিশেষ। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সরকারের তৃতীয় মেয়াদে প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বন্ধুরা, বাংলাদেশ আমাদের ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ পলিসি, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি, ভিশন সাগর ও ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের সংযোগস্থলে রয়েছে। বিগত এক বছরে আমরা একসঙ্গে মিলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পন্ন করেছি। আখাউড়া-আগরতলায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ষষ্ঠ বর্ডার অতিক্রমকারী রেল যোগাযোগ শুরু হয়ে গেছে। খুলনা-মোংলা বন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য কার্গো সুবিধা শুরু হয়েছে। মোংলা বন্দরকে প্রথমবার রেল সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিটই বিদ্যুত উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ভারতীয় রূপিতে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা নদীতে বিশ্বের দীর্ঘতম নদী ভ্রমণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত বন্ধুত্বের পাইপলাইন করা হয়েছে। ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ রপ্তানি হচ্ছে, যা জ্বালানি খাতে একটি বিশাল উদ্যোগ ও এটি একটি উদাহণ হয়ে থাকবে।’
আজ আমরা নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য একটি ভবিষ্যত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছি মন্তব্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘গ্রিড পার্টনারশিপ, ডিজিটাল পার্টনারশিপ, ব্লু ইকনোমি, স্পেসসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে অর্জন থেকে দুই দেশের যুবকরা লাভবান হবে। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী স্যাটেলাইট আমাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতা দেবে। আমরা আমাদের কেন্দ্রবিন্দুতে সংযোগ, ব্যবসা আর সহযোগিতাকে রেখেছি।’
গত ১০ বছরে আমরা ১৯৬৫ সালের আগের সংযোগকে পুনঃস্থাপন করেছি উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এখন আমরা আরও বেশি ডিজিটালাইজেশন ও বিদ্যুৎ সংযোগের উপর জোর দেব। এতে দুই দেশেরই অর্থব্যবস্থায় আরও গতি আসবে। উভয় দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য, উভয় পক্ষই সেপা (কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছি। ভারত বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে একটি অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো নির্মাণে সহায়তা করবে।’
৫৪টি অভিন্ন নদী ভারত ও বাংলাদেশকে সংযুক্ত করেছে উল্লেখ করে নরেন্দ মোদি বলেন, ‘আমরা বন্যা ব্যবস্থাপনা, আগাম সতর্কতা, পানীয় জল প্রকল্পে সহযোগিতা করছি। আমরা ১৯৯৬ সালের গঙ্গা জল চুক্তির নবায়নের জন্য প্রযুক্তিগত পর্যায়ে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশের তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করতে একটি কারিগরি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।’
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য, আমরা প্রতিরক্ষা উৎপাদন থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণ পর্যন্ত সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এমনটা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস দমন, মৌলবাদ এবং শান্তিপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় আমাদের অংশীদারত্ব জোরদার করার সংকল্প করেছি। ভারত মহাসাগর অঞ্চলের জন্য আমাদের একই দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক ওশান ইনিশিয়েটিভ-এ যোগদানের বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। বিমসটেকসহ অন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামেও আমরা আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।’
আমাদের ভাগ করা সংস্কৃতি এবং প্রাণবন্ত মানুষে মানুষে সংযোগ আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি, এমনটা মন্তব্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমরা স্কলারশিপ, প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসছেন, ভারত ই-মেডিকেল ভিসা সুবিধা চালু করবে। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের জনগণের সুবিধার্থে আমরা রংপুরে একটি নতুন সহকারী হাই কমিশন খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ম্যাচের জন্য, আমি উভয় দলের জন্য শুভকামনা জানাই।’