মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, সোমবার, ৬ মে ২০২৪ ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বর্ডারে প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে বিএসএফ : বিজিবি ডিজি


প্রকাশের সময় :৯ মার্চ, ২০২৪ ৭:১৮ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

বাংলাদেশ বর্ডারে প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে বিএসএফ- বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

তিনি বলেন-সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় সংঘবদ্ধ অপরাধ, মানবপাচার, চোরাকারবারীর মতো নানা অপরাধীরা বিভিন্ন সময় বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। তখন আত্মরক্ষার্থে কখনও কখনও বিএসএফ সদস্যরা ফায়ার করতে বাধ্য হন। গত বছর প্রায় ৬০ জন বিএসএফ সদস্য দা-এর মতো প্রাণঘাতী অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত হন। বিএসএফের প্রতিরোধে শুধু বাংলাদেশি নয়, ভারতীয় অপরাধীরাও মারা যায়।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনের শেষদিন বিজিবি-বিএসএফ ডিজির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ ডিজি বলেন, বাংলাদেশ বর্ডারে বিএসএফ প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে। সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় সংঘবদ্ধ অপরাধ, মানবপাচার, চোরাকারবারীর মতো নানা অপরাধীরা বিভিন্ন সময় বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। তখন আত্মরক্ষার্থে কখনও কখনও বিএসএফ সদস্যরা ফায়ার করতে বাধ্য হন। গত বছর প্রায় ৬০ জন বিএসএফ সদস্য দা-এর মতো প্রাণঘাতী অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত হন। বিএসএফের প্রতিরোধে শুধু বাংলাদেশি নয়, ভারতীয় অপরাধীরাও মারা যায়।

বিজিবি ডিজি বলেন, আমরা সীমান্তে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চেষ্টা করছি। আমরা সীমান্তে কোনো হতাহত হোক চাই না।

যশোর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সিপাহি রইশুউদ্দীনের নিহতের ঘটনা টার্গেট কিলিং নয় বলেও দাবি করে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন-গত ২২ জানুয়ারি যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মো. রইশুদ্দিনের মৃত্যু টার্গেট কিলিং ছিলো না।

অন্যদিকে বিএসএফ ডিজি শ্রী নিতিন আগ্রাওয়াল বলেন, ইতোমধ্যে বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে সেদিন কি ঘটেছিল। আমি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে চাই না, বিষয়টি অফিসিয়ালি বিজিবিকে অবগত করা হয়েছে।

এরপর বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ঘটনার সময় কুয়াশাচ্ছন্ন ও অন্ধকার ছিল। তাই দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিষয়টি নিয়ে দ্বিধায় ছিল।

বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, আমাদের দুই পক্ষেরই সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা রয়েছে পোশাকধারী ও সাধারণ নাগরিকদের কারও যেন প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটে। কোনো প্রাণ যাক, আমরা কেউই চাই না। প্রাণ রক্ষায় বিএসএফের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান বলেন, সীমান্তে চোরাকারবারীদের হামলায় গত বছর প্রায় ৬০ জন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা সাধারণত দা দিয়ে খুব কাছ থেকে বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। তখন প্রাণ রক্ষায় বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে।

তিনি আরও বলেন, তারা (বিএসএফ) দেখে না গুলিটা বডির কোন পার্টে লাগছে। সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু ক্লোজ রেঞ্জ থেকে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র দিয়ে গুলি করলেও মৃত্যু হতে পারে। ক্লোজ রেঞ্জ থেকে রাবার বুলেট ছুড়লে সেটি দিয়েও মৃত্যু হতে পারে।

শ্রী নিতিন আগ্রাওয়াল বলেন, যখন বিএসএফ সদস্যদের ওপর দা দিয়ে হামলা করা হয়, তখন তারা (চোরাকারবারি) অনেক কাছে চলে আসে। তখন আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ সদস্যরা কখনও গুলি করতে বাধ্য হন।

এর বাইরেও বিপুল চোরাকারবারীদের গ্রেপ্তারের পর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয় জানিয়ে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সীমান্তে মৃত্যু শুণ্যে নামিয়ে আনতে। এজন্য জয়েন্ট বর্ডার পেট্রলিং, ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিংসহ নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়ালের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।

ট্যাগ :