আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের পর্যবেক্ষক পাঠাতে কমনওয়েলথের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৭ মে) যুক্তরাজ্যে কমনওয়েলথ মহাসচিব ব্যারনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড তার বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ক্লারিজেস হোটেলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন এবং আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য কমনওয়েলথ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।জবাবে কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেছেন তারা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চান।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন যে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে, নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবে এবং নির্বাচনে হেরে বা জিতলে সহিংসতায় যাবে না।
মোমেন বলেন, তারা (কমনওয়েলথ) বলেছে যে, তারা আমাদের (অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে) সাহায্য করতে চায় এবং আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। আমরাও চাই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হোক।
কমনওয়েলথ মহাসচিবও অতীতের মতো জেলা পর্যায়ে বাংলাদেশের নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জানান, ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে তিনি গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাধীন ও শক্তিশালী করে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করেছে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তার দল জনগণকে নিয়ে গঠিত হয়েছে, কিছু দল সেনানিবাস থেকে এসেছে।
মোমেন বলেন, বৈঠকে নির্বাচন ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জলবায়ু, মানসিক স্বাস্থ্য এবং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশ আগামী জুন থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নেতৃত্ব দিতে চায়। বাংলাদেশ এখন কমনওয়েলথের ব্যবসার সঙ্গে ব্যবসায় ভিত্তিক ইভেন্টে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, কমনওয়েলথ মহাসচিব এসব বিষয়ে একমত হয়েছেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক এম নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।