আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তুরস্কের আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। চলছে ভোট গণনার কাজ। দেশটির স্থানীয় সময় আজ রোববার (১৪ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোটাররা এদিন একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন ২০ বছর ধরে তুরস্কের ক্ষমতায় থাকা জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) কেমাল কিলিকদারোগলু। খবর রয়টার্সের।
তুরস্কের আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রাত ৯টার (বাংলাদেশ সময় রাত ১২ টা) আগে নির্বাচনের কোনো ফলাফল ঘোষণা করা হবে না। অর্থাৎ, বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর থেকে ভোটের ফলাফল পাওয়া যাবে। তবে, প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণার আগে সেই আইনে পরিবর্তন এনেছে তুরস্কের নির্বাচন বোর্ড।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটির তথ্য মতে, এ পর্যন্ত ৯ দশমিক এক শতাংশ ব্যালটের গণনা হয়েছে। এতে এরদোয়ান পেয়েছেন ৫৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, কিলিকদারোগলু পেয়েছেন ৩৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ ভোট।
সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকেই ভোট দিতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভিড় করতে থাকে ভোটাররা, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। আজকের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে পাঁচ জোটের মাধ্যমে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল এবং ১৫০ স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়ছেন তিন প্রার্থী। তবে, এরদোয়ান ও কিলিকদারোগলুয়ের মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে ধারণা হচ্ছে।
এই ভোটগ্রহণের জন্য সারা দেশে এক লাখ ৯১ হাজার ৮৮৫টি ব্যালট বক্স স্থাপন করা হয়। এবার নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ছয় কোটি ৪১ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে বিদেশে অবস্থানরত ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ভোটার তাদের ভোট দিয়ে দিয়েছেন। আর এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট ৪৯ লাখ নতুন ভোটার।
প্রতিজন ভোটার ভোট দিতে দুটি করে ব্যালট পান। একটি পার্লামেন্ট বাছাইয়ের জন্য এবং অন্যটি প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর জন্য। নির্বাচনে জয়ীরা আগামী পাঁচ বছর দেশটির ক্ষমতায় থাকবে।
তুরস্কের নির্বাচন অনুযায়ী, আজকের এই ভোটে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে দ্বিতীয় ধাপে ভোট হবে। আর দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ২৮ মে।