আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
জোড়ে কথা বললে নভেল করোনাভাইরাস বেশি ছড়ায় বলে জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা। ছয়জন গবেষকের একটি দল কয়েক মাস ধরে গবেষণার পর সম্প্রতি জানিয়েছেন, রুমের ভেন্টিলেশন দ্বিগুণ করলে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি যত কমে, তেমনি ছয় ডেসিবেলের কম আওয়াজে কথা বললেও একই সুবিধা পাওয়া যায়।
গবেষকেরা বলছেন, ‘‘উচ্চ ঝুঁকির ইনডোর পরিবেশে ‘শান্ত-এলাকা’ রাখা উচিত। তাতে ভাইরাসের সংক্রমণ কম হবে।’’ সাধারণ আলাপ ১০ ডেসিবেল রেঞ্জের হয়ে থাকে। এই মাত্রা রেস্টুরেন্টের মতো এলাকায় ৭০ এ পৌঁছে যায়। গবেষক উইলিয়াম রিস্টেনপার্ট বলছেন, ‘ঘরের ভেতরে সব পরিবেশে একইভাবে ভাইরাস ছড়ায় না। জনাকীর্ণ কিন্তু শান্ত শ্রেণিকক্ষ কম বিপজ্জনক। কিন্তু উচ্চ স্বরে যেখানে কথা বলা হচ্ছে অথবা গান গাওয়া হচ্ছে, সেখানে কিন্তু বিপদ বেশি থাকবে।’
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি যখন কথা বলেন, হাঁচি কিংবা কাশি দেন তখনই অন্যরা সংক্রমিত হন। বদ্ধ ঘরে সংক্রমণের এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াবাহিত যেসব কণা বাতাসে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত ভেসে থাকতে পারে, তেমন কণা নিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করার মাধ্যমে বায়ুবাহিত সংক্রমণ হয়ে থাকে। অতি ক্ষুদ্র এসব ড্রপলেট বড় পরিসরের জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিমভাবে বাতাসে ছড়িয়ে দেয়া করোনাভাইরাস তিন ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, করোনার এমন সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে জনাকীর্ণ ঘরে সবার শান্ত থাকা উচিত।