অনলাইন ডেস্কঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিন উপলক্ষে দুবাই এক্সপোতে অনুষ্ঠিত হলো জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুবাই এক্সপোর মিলেনিয়াম এম্পিথিয়েটার মঞ্চে এ আয়োজন করা হয়৷
আমিরাতের মাটিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর বেশকিছু আয়োজনের মধ্যে এটিই ছিল সর্বশেষ এবং স্মরণীয় আয়োজন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় এতে অংশ নেন বাংলাদেশ ও আমিরাতি নাগরিকসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো দর্শক। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর।
এসময় তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কীর্তিমত্তা, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশের ঐতিহ্যের বর্ণনা করেন। সেই সঙ্গে আমিরাত ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
এরআগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বরচিত কবিতাংশ উচ্চারণ করে স্বাগত বক্তব্য দেন দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল বিএম জামাল হোসেন।
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা মুজিব বর্ষের শেষ পর্যায়ে উপনীত হয়েছি। মুজিব বর্ষকে ধরে রাখার জন্য এবং আমাদের শক্তিমত্তাকে জানান দেয়ার জন্য দুবাই এক্সপোতে আমাদের সরব ও সদম্য উপস্থিতি। এখানে আমরা বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মদিন পালন করছি। যাতে বিশ্ববাসী জানতে পারে এবং মুজিব বর্ষের শেষে এই আয়োজনটি একটি স্মরণীয় আয়োজন হয়ে থাকে।”
বক্তব্য পর্ব শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির একঝাঁক সঙ্গীত ও নৃত্য শিল্পীর অংশগ্রহণে শুরু হয় জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। “একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার”, “তুমি বাংলার ধ্রুবতারা, তুমি হৃদয়ের বাতিঘর”, “তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর”, ” জয় বাংলা, জয় বাংলা বলিয়া মাঝি”, “মোরা ঝর্ণার মতো চঞ্চল”, “স্বাধীন স্বাধীন-দিকে দিকে” গানসহ আমিরাত-বাংলাদেশ যৌথ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার নাচে গানে মেতেছিল প্রবাসী বাংলাদেশীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত দর্শনার্থীরা। কখনও বঙ্গবন্ধু, কখনও বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণ নিয়েও ছিল বর্ণিল পরিবেশনা। নাচেগানের এক সন্ধ্যার পুরোটা সময়জুড়ে এসবই ছিল মূল অনুষঙ্গ। এ যেন প্রবাসের মাটিতে একটু টুকরো “বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”।