আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
চীনে জি-৪ নামে এক ধরনের নতুন সোয়াইন ফ্লুর খোঁজ পেয়েছেন গবেষকরা। নতুন এই ভাইরাসটি শূকর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, এই ভাইরাস বিবর্তন ঘটাতে পারে তাই সহজেই মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং বৈশ্বিক মহামারির কারণ হতে পারে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
যুক্তরাষ্ট্রের সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে জি-৪ নামের এই ভাইরাসটি জিনগতভাবে এইচ১এন১ ভাইরাসেরই একটি স্ট্রেইন। ২০০৯ সালে বিশ্বজুড়ে মহামারির কারণ হয়েছিল এই এইচ১এন১ ভাইরাস।
চীনের বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই ভাইরাসের ‘আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার প্রয়োজনীয় সব গুণ’ রয়েছে এবং গভীরভাবে এটিকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। গবেষকরা বলছেন, মানবদেহে জি-৪ ভাইরাসটির সংক্রমণ এটির অভিযোজন ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়াবে।
তিনটি আলাদা আলাদা বংশক্রমের সমন্বয় রয়েছে এই ভাইরাসে। একটি স্ট্রেইন ইউরোপিয়ান এবং এশিয়ান পাখিদের মধ্যে পাওয়া এইচ১এন১ স্ট্রেইন, যেটা ২০০৯ সালে মহামারির ঘটিয়েছিল এবং উত্তর আমেরিকান একটি এইচ১এন১ স্ট্রেইন, যেটিতে পাখি ও মানুষের জিন রয়েছে এবং আরেকটি হচ্ছে শূকরের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।
লিউ জিনহুয়ার নেতৃত্বে চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির একটি টিম ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০টি প্রদেশে শূকরের নাক থেকে ৩০ হাজার নমুনা সংগ্রহ করে। এসব নমুনা পরীক্ষা করে তারা ১৭৯টি সোয়াইন ফ্লুর খোঁজ পান। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই নতুন ধরনের ভাইরাস যেগুলো ২০১৬ সাল থেকে শূকরের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করছে।
বিজ্ঞানীরা ভাইরাসগুলো নিয়ে গবেষণা চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে দেখা গেছে, জি-৪ ভাইরাসটি উচ্চ সংক্রামক। মানবদেহের কোষে এটির বিস্তার লাভ করতে পারে। ভাইরাসটি ইতোমধ্যেই প্রাণী থেকে মানবদেহে প্রবেশ করেছে। কিন্তু মানুষ থেকে মানুষের শরীরে এটি ছড়াতে পারে কিনা, এমন কোনও তথ্য-প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।