মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার খান ইউনিসে চলছে তীব্র লড়াই


প্রকাশের সময় :২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ৪:৪৬ : পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গাজায় নির্বিচারে চলছে ইসরায়েলি হামলা। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) এ বিষয়ে রায় দেওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযান কমানোর নির্দেশনা আসতে পারে আদালতের পক্ষ থেকে। তবে ইসরায়েলের অভিযান ধীরগতি হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

গাজার খান ইউনিসের হাসপাতাল, শরণার্থী ক্যাম্প ও সরকারি অবকাঠামোতে নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৮৩ জন মারা গেছেন এবং ৩৭৭ জন আহত হয়েছেন।

আরব গণমাধ্যমের জন্য নিয়োজিত ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র আভিচায় আদ্রায়ি নিশ্চিত করেছেন, দক্ষিণের খান ইউনিসে তীব্র লড়াই চলছে। তবে ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরে আক্রমণ চালাচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।

৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৬ হাজার ৮৩ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৪৮৭ জন। অন্যদিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়ে ছিলেন ১ হাজার ১৩৯ জন।

পঞ্চম দিনের মতো গাজার নাসের হাসপাতাল ঘিরে রাখা হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা জানিয়েছেন, খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে খাবার পুরোপুরি ফুরিয়ে গেছে। অবশের ওষুধ ও ব্যথানাশকও শেষ হয়ে গেছে।

আল-কুদরা বলেন, ‘১৫০ জনের মতো স্বাস্থ্যকর্মী, ৩৫০ জনের মতো রোগী এবং শত শত বাস্তুচ্যুত পরিবার রয়েছে হাসপাতালটিতে। তারা ক্ষুধা, হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া এবং চিকিৎসার অভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

ইসরায়েলি বাহিনী স্নাইপার দিয়েও আক্রমণ চালাচ্ছে। এরকম আক্রমণে প্রাণ হারানোদের দলে দুই ভাই রয়েছে। তারা আল-আমাল হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়েছিলেন। তাদের একজনের হাতে সাদা পতাকা ছিল। তারপরও হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনি বেসামরিকরা যে সুরক্ষিত নন, এ ঘটনাকে সেটির একটি প্রমাণ হিসেবেই দেখছেন আল-কুদরা। তিনি জানান, খান ইউনিস শহরের বাইরে যাওয়া মানুষের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছে। শহর বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, কোনো কিছু নড়তে দেখলেই গুলি চালাচ্ছে স্নাইপাররা। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে তারা গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে স্থল, জল ও আকাশ পথে আক্রমণ চালাচ্ছে।

ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী বিভিন্ন অপারেশনাল সেন্টার, অস্ত্রের মজুত, পর্যবেক্ষণের স্থান এবং ট্যাংক ধ্বংস করার অবস্থানকে কেন্দ্র করে হামলা চালাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ফিলিস্তিনি যোদ্ধা এবং নৌবাহিনী বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।

এদিকে, গাজায় জিম্মি অবস্থায় থাকা ইসরায়েলিদের পরিবার ও অন্যরা ইসরায়েলের কারেম আবু সালেম এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন। তারা দাবি করেন, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ না করতে দেওয়ার জন্য।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, শত শত প্রতিবাদকারী ওই এলাকায় এসে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিবাদকারীদের দাবি, জিম্মি ফেরত দেওয়ার আগে যাতে গাজায় কোনো সহায়তা ঢুকতে না দেওয়া হয়। সূত্র: আল-জাজিরা

ট্যাগ :