আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাজ্য এখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যে আমরা এটি (দ্বিতীয় ঢেউ) দেখবো, তা একরকম অনিবার্যই ছিল।’ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবেলায় ‘কঠোর লকডাউন’ দিতে চান না জানালেও সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর হওয়া লাগতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন এ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
পরিস্থিতি সামলাতে যুক্তরাজ্য তিন স্তরে বিধিনিষেধ দেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর মাধ্যমে জাতীয়ভাবে লকডাউন না দিয়ে এক বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে অন্য বাড়ির বাসিন্দাদের দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ এবং বার ও রেস্তোরাঁ খোলা রাখার সময় কমিয়ে আনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম স্তরে কেবল সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে; এই স্তরে যেসব বিধিনিষেধ রাখার কথা ভাবা হচ্ছে তা এখনই ইংল্যান্ডের অধিকাংশ এলাকায় আছে। দ্বিতীয় স্তরে বিভিন্ন ভেন্যুতে কারফিউ এবং এক বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে অন্য বাড়ির বাসিন্দাদের দেখা সাক্ষাতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় স্থানীয়ভাবে এ ধরনের বিধিনিষেধ বলবৎ আছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে তৃতীয় স্তরে দেওয়া হবে লকডাউনসহ কঠোর সব বিধিনিষেধ। শীতের সময় করোনাভাইরাস মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে- এ শঙ্কায় কর্মকর্তারা বসন্তকাল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেওয়ার কথাও ভাবছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। যুক্তরাজ্যে শুক্রবার নতুন ৪ হাজার ৩২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে ৮ মে’র পর এদিনই ৪ হাজারের বেশি নতুন কোভিড-১৯ রোগীর দেখা মিলল।