স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী বছরের গোড়ার দিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ঢাকা সফরে আসছেন- এমন খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশিরা। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসেবে সবসময় আলোচনায় থাকা এই রাষ্ট্রপ্রধানকে অগ্রিম অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেকে। সেই সাথে এরদোগনাকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানানোয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মূলত ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানে ঢাকা সফরের সম্মতি জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। আগামী বছরের গোড়ার দিকে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গত বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হলে এরদোগান ঢাকা সফরের ব্যাপারে সম্মতি জানান। এসময় এরদোগান নির্যাতিত ও দুর্গত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বংলাদেশে আশ্রয় প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
ফেসবুকে শেখ খলিলুর রহমান লিখেছেন, ‘‘তুরস্কই মুসলমানদের ভবিষ্যৎ। সুতরাং বাংলাদেশের উচিত তুরস্কের সাথে ইস্পাত কঠিন সম্পর্ক গড়ে তুলা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা যেভাবে এগিয়ে এসেছে পৃথিবীর আর কোন রাষ্ট্র এভাবে আগাই নাই। অতএব মুসলমানদের বিশ্বনেতা এরদোয়ানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক গড়ে তুলা সময়ের দাবী।’’
মোঃ নুরুদ্দিন ইলিয়াস লিখেছেন, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ, আবেগ, ভালোবাসা, প্রানের লিডার, মুসলমানদের হৃদয়ের স্পন্দন সুলতান এরদোয়ানকে উষ্ণ অভিনন্দন। প্রিয় নেতা এই দুটি চক্ষু আপনাকে সরাসরি দেখার জন্য বেকোল হয়ে আছে। পুরো দেশের জনগন ওযেলকাম জানাতে রাস্তায় নামবে। নিশ্চয়ই বাংলাদেশ অতি দ্রুত তুর্কি হাসপাতালের জন্য জমি বরাদ্দ দিবে এবং সুযোগটি গ্রহন করবে।’’
হুমায়ুন কবির বাবু লিখেছেন, ‘‘আমার সবচেয়ে প্রিয় একজন নেতা। তিনি যদি আসেন তাহলে আমি রাস্তায় দাড়িয়ে ফুল দিয়ে বরন করব। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবং অভিনন্দন প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইফ এরদোয়ানকে আমাদের বাংলাদেশে আসার জন্য ইচ্ছে পোষণ করার জন্য।’’
মৌদুদ চৌধুরী লিখেছেন, “সুলতান এরদোগান” বাংলাদেশে আসবেন। যদি “এরদোগান” বাংলাদেশে আসেন তাহলে আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে রাস্তায় দুপাশে দাড়িয়ে তাকবির দিয়ে ইসলামিক নিয়মে শুভেচ্ছা জানাই, যাতে পুরা বিশ্ববাসী দেখে একজন সৎ-যোগ্য মুসলিম নেতাকে আরেক দেশের জনগণ কত ভালোবাসে!’’
উজ্জল কান্তি দত্ত লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন মুসলিম দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে। তুরস্কের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রশংসার দাবি রাখে। যেভাবে ভারতকে পাশ কাটিয়ে তিনি প্রথমে চীনের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন এরপর তুরস্ক আসলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কূটনীতিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।’’
রোকন হোসাইন লিখেছেন, ‘‘সৌদিসহ মুসলিম দেশের নেতৃত্ব দিবে তুরস্ক, বাংলাদেশেরও সেই পথে হাটা উচিত। কারন ৯০% মুসলিমের এদেশে নাস্তিকদের কোন সুযোগ নেই যে ইসলাম বিরোধী কথা বলা। তাই প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি তুরস্কোর সাথে সুসম্পর্ক করা।’’
মোঃ মারুফ বিল্লাহ লিখেছেন, ‘‘তুরস্ক বিশ্বব্যবস্থার এক নতুন শক্তি। এটি বাস্তবতা। বাংলাদেশের জনগণ তুরস্কের সাথে গভীর ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই।তুরস্ক বর্তমানে অর্থনৈতিক, সামরিক ও সাংস্কৃতিক শক্তি। বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির জন্য তুরস্কের সহযোগিতা প্রয়োজন।’’