আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় দেশটি। গত কয়েকদিনের টানা এই হামলায় ভূখণ্ডটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ জনে। নিহতদের মধ্যে অন্তসত্ত্বা নারী ও শিশুরাও রয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলা ও বোমা হামলা হামলায় ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটি। বৃহস্পতিবার সকালেও বোমা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আর এর মধ্যেই উদযাপনহীন রক্তাক্ত এক ঈদ পার করছেন ফিলিস্তিনিরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, দফায় দফায় বিমান হামলা ও বোমা হামলা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ জনে। নিহতদের মধ্যে ১৭ জন শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত কয়েক শত মানুষ।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তা ভবন, পুলিশ ভবনসহ আশপাশের ভবনে বোমা নিক্ষেপ করেছে। ওই হামলায় গাজা সিটির তেল আল-হাওয়া এলাকার একটি ভবনের দুই বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন গর্ভবতী নারী, অন্যজন ওই নারীর সন্তান।
এদিকে হামলায় অন্তসত্ত্বা নারী ও শিশুসহ বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষ হতাহত হওয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীকে দোষারোপ করেছে শিশু অধিকার রক্ষা বিষয়ক সংস্থা ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল-প্যালেস্টাইন।
সংস্থাটির অ্যাকাউন্টিবিলিটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আয়েদ আবু একতায়িশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিধ্বংসী হামলার কারণে নারী ও শিশুসহ নিরীহ পরিবারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন। কিন্তু গাজা উপত্যকায় এখন আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।