অনলাইন ডেস্ক:
মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকেও তা মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে ইসরায়েল শর্ত পূরণ না করলে এই যুদ্ধবিরতি থাকবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে হামাস। তারা যুদ্ধবিরতির সেই শর্তও ঘোষণা করেছে।
শর্তের বিষয়ে হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধানের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু গাজায় সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি আল-আকসা মসজিদ ও শেখ জাররাহ এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার যে প্রতিশ্রুতি ইসরায়েল দিয়েছে, তা যতক্ষণ পর্যন্ত তেল আবিব মেনে চলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত হামাসও যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করবে।
এই শর্ত দেওয়ার মাধ্যমে হামাস মূলত বোঝাতে চেয়েছে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে ইসরায়েলকে পরিণতি ভোগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টি মেনে নিতে বাধ্য হয়। মন্ত্রিসভা বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ‘মিশরীয় প্রস্তাব’ মেনে নিয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তা ঘোষণা করা হয়।
হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতা ওসামা হামদান লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীদের পক্ষ থেকে গাজার ওপর আগ্রাসন বন্ধ করার নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। এছাড়া জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ থেকে ইসরায়েল সেনা সরিয়ে নেবে, সে নিশ্চয়তাও আমরা পেয়েছি।