রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর লড়াইয়ে জড়িয়েছে দখলদার ইসরায়েল ও ইরান। সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে তেহরান। পাল্টা জবাব দিতে পারে ইসরায়েলও। এমন অবস্থায় অতীতে যে পরিমাণ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবার তার চেয়েও বেশি প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। একইসঙ্গে যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। খবর- আল জাজিরার।
সামরিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিম জং টু বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের সময়ে এ নির্দেশ দেন উত্তর কোরিয়ার শাসক। কিমের এই নির্দেশের পর প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি দ্রুত কোনো সংঘর্ষের ইঙ্গিত দিলেন কিম জং উন।
উত্তর কোরিয়ার নেতা বলেছেন, দেশের চারপাশের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। এই অবস্থায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশে সব চেয়ে বড় সামরিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিম জং টু বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের সময়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। পুতিন সম্প্রতি ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছেন। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়পর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইরান যাতে ইসরায়েলে হামলা না চালায় এজন্য বারবার সতর্ক করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে সঙ্গ দিলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা চালানো হবে বলে ঘোষণা করেছে আরান। এই পরিস্থিতিতে কিমের মন্তব্য হুমকি নাকি আগাম সতর্কতা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের কিম জানিয়েছেন, যদি শত্রু বাহিনী উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়, সে ক্ষেত্রে কোনো রকম দ্বিধা না রেখেই শত্রুদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার বার্তাও দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক। সে জন্য যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কিম।
কিমের মন্তব্য তুলে ধরেছে দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম। কিম বলেছেন, “আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি জটিল… দেশের চারদিকে সামরিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চিত ও অস্থিতিশীল।”
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই সফলভাবে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। এই অস্ত্র তাদের দ্রুত ও আরও শক্তিশালীভাবে প্রত্যাঘাতের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছে বলেও জানান কিম।