আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইরানে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে এবং হু হু করে বাড়ছে নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যাও। যদিও সংক্রমণ কমে আসার প্রবণতা দেখে দেশটি মধ্য এপ্রিলে নানা বিধি-নিষেধ শিথিল করতে শুরু করেছিল। এখন দেখা যাচ্ছে গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে ব্যাপক বেড়েছে সংক্রমণ। মধ্য জুন নাগাদ মৃতের সংখ্যা একশ ছাড়ায় যা দু’ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এরপর থেকে সংখ্যাটা বাড়ছেই। গত ৯ই জুলাই একদিনে মারা গেছে সর্বোচ্চ ২২১ জন।
গত ৪ই জুন দেশটিতে শনাক্ত হয়েছিল ৩,৫৭৪ জন। এখন এর চেয়ে দিনে অন্তত দুই হাজার করে বেশি মানুষ শনাক্ত হচ্ছে। এর আগে সর্বোচ্চ ৩,১৮৬ জন শনাক্ত হয়েছিলো গত ত্রিশে মার্চ। সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে চীনের পর ইরানেই সবচেয়ে বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছিলো।
এপ্রিলে ইরান বিধি-নিষেধগুলো শিথিল করতে শুরু করেছিল। নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় ইরানজুড়ে সিটি পরিবহন, ব্যাংক, অফিসগুলো লোকারণ্য হতে শুরু করে। এর আগে শুরুতে কওম আর তেহরানে সংক্রমণ সীমাবদ্ধ ছিলো। কিন্তু এখন দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল বিশেষ করে খুজেস্তান প্রদেশে এই সংক্রমণ বাড়ছে। ইরানের মহামারি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেহেদী গৌয়া অবশ্য বলেছেন, সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ার কারণ হল তারা আক্রান্ত হননি বা অল্প লক্ষণ দেখা গেছে এমন ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করার কাজ করছেন। ইরানে নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানো হয়েছে এবং প্রতি ৪৫জনে একজনের পরীক্ষা করার পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাইদ নামাকি বলেছেন, লোকজন সামাজিক দূরত্বে বিধি-নিষেধ অগ্রাহ্য করছে। এক জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৪০ ভাগ মানুষ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলছেন, গণপরিবহনে বা ভিড় হয় এমন জায়গায় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং প্রয়োজন হলে পুলিশ এটি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেবে।