আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার তুর্কি প্রেসিডেন্টের প্রধান উপদেষ্টা ইব্রাহিম কালিনের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ওপর আরও রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি হ্যাবার জানিয়েছে, তুর্কি প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বলেছেন, ইউক্রেন সংকট সমাধানে ‘সব ধরনের সহায়তা’ দেবে তুরস্ক। বৃহস্পতিবার ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। এই সফর ‘কূটনীতির মাধ্যমে সংকট নিরসনে অবদান রাখবে।’
এর আগে গত নভেম্বরে ইউক্রেন সংকটে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় তুরস্ক। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, গত মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই আঙ্কারার মধ্যস্থতার প্রস্তাব গ্রহণের ব্যাপারে ইতিবাচক ছিল।
কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশেরই সামুদ্রিক প্রতিবেশী তুরস্ক। উভয় দেশের সঙ্গেই আঙ্কারার সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে সিরিয়া ও লিবিয়া ইস্যুতে আঙ্কারার অবস্থান মস্কোর নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০১৪ সালে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখলেরও বিরোধী আঙ্কারা। এদিকে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি খাতে মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তুরস্কের। অন্যদিকে ইউক্রেনের কাছে অত্যাধুনিক ড্রোন বিক্রি করেছে তুরস্ক। এসব ড্রোন ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। তুর্কি ড্রোন রফতানির এ ঘটনা মস্কোকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।
গত মাসের শেষদিকে এরদোয়ান বলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ করা রাশিয়ার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সেক্ষেত্রে ন্যাটো সদস্য হিসেবে যা প্রয়োজন তাই করবে তুরস্ক।