আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
প্রায় ১ মাসের বেশি সময় থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চলেছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধপরিস্থিতি এই দীর্ঘ সময়েও কোনো সমাধানের মুখ দেখেনি। চলমান এই যুদ্ধে দুই দেশের অসংখ্য সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছেন। এর আগে রাশিয়া ২ মার্চ প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিল, ইউক্রেনে যুদ্ধে তাদের ৪৯৮ সেনা নিহত হয়েছেন। সেনা নিহতের আর কোনো হিসাব দেয়নি তারা। সম্প্রতি দ্বিতীয় বারের মতো ইউক্রেন যুদ্ধে হতাহত সেনাদের পরিসংখ্যান জানালো রাশিয়া। দেশটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের এক হাজার ৩৫১ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিন হাজার ৮২৫ সেনা। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এই তথ্য জানিয়েছে।
তবে এদিকে ইউক্রেন দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ১৪ হাজার ৮০০ সেনা নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ এই তথ্য জানায়। এছাড়া পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো দাবি করে, এক মাসের যুদ্ধে রাশিয়ার সাত থেকে ১৫ হাজার সেনা নিহত হয়েছে। তবে এসব দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।