আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আগামী শুক্রবার (২৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট প্রস্তাব উত্থাপিত হবে। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার রবিবার এই ঘোষণা দিয়েছেন। এতে করে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে। মার্চ মাসের শুরুতে বিরোধী দলগুলোর একটি জোট ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব এনেছে। ক্ষমতাসীন দল থেকে এক ডজনের বেশি নেতা বেরিয়ে যাওয়ার পর জোটের দাবি প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন।
সংবিধান অনুসারে, প্রস্তাব পাওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার অধিবেশন ডাকতে বাধ্য। সোমবার এই ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু স্পিকারের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৩ মার্চ ইসলামাবাদে ওআইসি’র সম্মেলন আয়োজনের কারণে কয়েক দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। জোটের ও বিক্ষুব্ধ নেতাদের সমর্থন না পেলে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারাতে পারে। নিম্নকক্ষে তাদের আসন ১৫৫টি। যা ক্ষমতায় থাকতে প্রয়োজনীয় ১৭২ আসনের চেয়ে কম। বিরোধী রাজনৈতিকদের আসন প্রায় ১৬৩। অনাস্থা ভোটে পিটিআই ছেড়ে যাওয়া নেতারা তাদের সঙ্গে যোগ দিলে বিরোধিরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা। পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।
রবিবার এক সমাবেশে দলত্যাগীদের ক্ষমতাসীন দলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ফিরে আসুন। আমি আপনাদের ক্ষমা করে দেব। আমরা সবাই ভুল করি। একজন বাবা যেমন ছেলেকে ক্ষমা করেন।