স্টাফ রিপোর্টার:
গত কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। অবশেষে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দর নিম্নমুখী হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, এ সপ্তাহের শেষদিকে মূল্যস্ফীতির উপাত্ত প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে সুদের হার বাড়ানোর আভাস দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) কর্মকর্তারা। ফলে স্বর্ণে বিনিয়োগে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাতে বুলিয়ন বাজার দুর্বল হয়েছে।
আলোচ্য কর্মদিবসে স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দাম স্থির হয়েছে ১৯২১ ডলার ৩০ সেন্টে।
একই দিনে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের সরবরাহ মূল্য স্থিতিশীল আছে। আউন্সপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯৪১ ডলার ৬০ সেন্টে।
বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিএনপি পরিবাস শেয়ারখানের সহযোগী সহ-সভাপতি প্রাবিন সিং বলেন, গ্লোবাল গোল্ড এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডের (ইটিএফ) হোল্ডিং কমে যাচ্ছে। এতে স্পষ্ট স্বর্ণে বিনিয়োগের চাহিদা দুর্বল রয়েছে। স্বভাবতই গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দরপতন ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন ডলারের মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে ইউএস ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। ফলে মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের বাজার চাপে পড়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম ইটিএফ এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট জানিয়েছে, গত শুক্রবার তাদের হোল্ডিং ২০২০ সালের জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে।
চলমান মাসে সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে ফেড। তবে চলতি বছরের শেষদিকে তা বাড়াতে পারে তারা। ফলে স্বর্ণ কিনতে অনুৎসাহিত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
এরই মধ্যে গত ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে ডলারের মান। এছাড়া বেঞ্চমার্ক ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি ইল্ড বিগত ১৬ বছরের মধ্যে সর্বাধিক শিখরে পৌঁছেছে। স্বাভাবিকভাবেই স্বর্ণের দর কমেছে।