স্টাফ রিপোর্টারঃ
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমরা নিচু স্তর থেকে উঁচু স্তরে চলে এসেছি। বিশ্বে আমাদের মান-সম্মান আগের চেয়ে বেড়েছে। এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আছি। ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হবো। ২০৪১ সালে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ হবো।
বুধবার (২৫ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর মাস্টার ট্রেইনারদের চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিবিএস প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে ডিজিটাল জনশুমারি করতে যাচ্ছে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। পরিসংখ্যান যদি ঠিক না থাকে, ডাটা যদি ঠিক না থাকে, তাহলে অর্থনীতিতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারি না। ডাটা সঠিক না হলে সব ধারণা ও পরিকল্পনা নষ্ট হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। এই কাজটি করতে পারলে জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনীর মূল জায়গায় স্পর্শ করতে পারবো। জাতির প্রধান চাওয়া ভৌগলিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি। জাতির পিতা আমাদের ভৌগলিক মুক্তি দিয়ে গেছেন কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তির কাজ তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি। এই সুযোগ আমরা তাকে দিইনি। আজকে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করছেন।
দেশবাসীকে জনশুমারিতে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জনশুমারিতে তথ্য নেওয়া হবে। অনেকে মনে করতে পারেন শুমারির পরে ট্যাক্স বাড়বে, খাজনা বাড়বে। অনেকে নানা ধরনের কথা বলতে পারে। কেউ যেন এভাবে ভুল তথ্য দিয়ে প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ব্যাহত না করতে না পারে। সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এই বিষয়ে সবার কাছে অনুরোধ থাকবে। আপনার আমার সবার দায়িত্ব এদেশের মানুষকে ভালোবাসা। আমরা সবাই জানি এদেশের মানুষ অনেক সহনশীল ও পরিশ্রমী। সবাই সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। শুধু নিজের দিকে চিন্তা করলে হবে না।
ভিডিওবার্তায় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জনশুমারি প্রয়োজন। এটি কোভিড-১৯ এর কারণে দেড় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অতি সহজে অল্প সময়ের মধ্যেই এটি সম্পন্ন হবে। মাঠ ও উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে মনিটরিং করতে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্যব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। এছাড়াও বক্তব্য দেন জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন ও টেকনিক্যাল টিমের প্রধান ড. দীপংকর রায়।