এম.এইচ মুরাদঃ
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে। রপ্তানি কার্যক্রম অনেকটাই বন্ধের মতো। তাছাড়া আসছে না প্রবাসীদের উপার্জিত আয় (রেমিট্যান্স)। যার কারণে দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে বেড়েছে ডলারের দাম। ফলে বিপাকে পড়েছেন শিল্পের কাঁচামাল আমদানিকারকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এখন আন্তঃব্যাক রেটে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা। তবে বাজারের বাস্তবতা ভিন্ন। বেশ কিছু ব্যাংক ডলার সংকটের কারণে পণ্য আমদানি দায় পরিশোধে ডলারের মূল্য নিচ্ছে সাড়ে ৮৬ থেকে ৮৭ টাকা। খুচরা পর্যায় দাম আরও বেশি। কোনো কোনো ব্যাংক খুচরা ডলার বিক্রি করছে ৮৮ থেকে সাড়ে ৮৮ টাকা পর্যন্ত। যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ।
এদিকে ডলারের এ সংকটকালে আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও ডলারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জানা গেছে, করোনাভাইরাসের এ চলমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন ও সাধারণ ছুটির সময় বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে প্রায় ২০ কোটি ডলারের মতো বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানতে চাইলে বেসরকারি এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বই এখন অচল। রেমিট্যান্স আসছে কম। রপ্তানিও অনেক কমে গেছে। কিন্তু আগের আমদানির দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে। তাই বাজারে ডলারের কিছুটা সংকট রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করে কিছু সরবরাহ বাড়িয়েছে। তবে রপ্তানি-রেমিট্যান্স প্রবাহ স্বাভাবিক না হওয়ার পর্যন্ত এ অবস্থার উন্নতি হবে না।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৯ মাস (জুলাই-মার্চ) শেষে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮৯৭ কোটি ডলার। এই আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ কম।
একক মাস হিসেবে মার্চে রপ্তানি আয় হয়েছে ২৭৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ কম।