নিউজ-ডেস্ক:
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরতের বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ফিলিপাইন। তবে শিগগিরই অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় ফিলিপাইনের সঙ্গে সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
চার বছর পরে দুদেশের মধ্যকার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মাসুদ বিন মোমেন।
চুরি যাওয়া অর্থ কবে নাগাদ ফেরত আসতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়া সবসময় একটু লম্বা হয়। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে বা ফিলিপাইনে যে বিচার চলছে, তা চলবে। এসব মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার বিষয়ে নির্ধারিত কোনো সময় বাধা নেই।’
তিনি বলেন, বৈঠকে ফিলিপাইনের কাছে আমরা কয়েকটি বিষয়ে সাহায্য চেয়েছি। যেমন- কিছু অপরাধীর পরিচয় নিশ্চিত করার ব্যাপার। এই তথ্য ফিলিপাইন আমাদের দেয়নি। সেটা আমরা চেয়েছি। এছাড়া কিছু অর্থনৈতিক বিষয় আছে। সেটাও তারা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তবে এই তথ্য দেওয়ার বিষয়ে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ হয়নি।
সচিব জানান, ফিলিপাইন আরসিবিসি ব্যাংককে ২০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে। এই টাকাটাও বাংলাদেশকে দেওয়ার ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা চলছে। ফিলিপাইন থেকেও কিছু টাকা পাচার হয়ে গেছে। ওদের দেশে তদন্ত চলছে বিভিন্ন পর্যায়ে।
মোমেন আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দুদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সহযোগিতা স্মারকের খসড়া হস্তান্তর হয়েছে, কয়েকটি স্বাক্ষরও হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ফিলিপাইনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে নেয় দুর্বৃত্তরা।