স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনা মহামারির প্রভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য সরকার যে ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, সেই অর্থের জোগান দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেজন্য ১০ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি সামাল দিতে ব্যাংকগুলোর যে তারল্য লাগবে, এর অর্ধেক জোগান দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকগুলো সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। এর মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ পরিশোধ করবে ঋণগ্রহিতা প্রতিষ্ঠান। বাকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে। এই তহবিল থেকে ঋণের অর্ধেক ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
সব ব্যাংক ঋণ দেওয়ার পর এ তহবিল থেকে অর্থ নিতে আবেদন করতে পারবে। তবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর আবেদন কেস টু কেস ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে বলে সার্কুলারে জানানো হয়েছে।
এ তহবিলের মেয়াদ তিন বছর। তবে প্রতিটি ঋণের মেয়াদ এক বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংককে টাকা ফেরত দিতে হবে ব্যাংকগুলোকে। বিলম্ব হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাব থেকে ২ শতাংশ সুদসহ টাকা কেটে নেবে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণে গত ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন। এরমধ্যে শিল্প খাতের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার কথা ছিল।
শিল্প খাতের ওই ৩০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকার জোগান দিতে গত ২৩ এপ্রিল একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবার করা হলো ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য। দুই ক্ষেত্রেই সুদের হার একইরকম রাখা হয়েছে।