স্টাফ রিপোর্টারঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুরোদমে চলছে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম। ইতোমধ্যে উপজেলায় মানুষের শরীরে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করোনা ভ্যাকসিনে সুফল মিলতে শুরু করেছে। কমতে শুরু করেছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার।
অপরদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমে গেছে করোনা নমুনা টেস্ট ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা। করোনা আইসোলেশনে ভর্তি নেই কোনো করোনা রোগী। সব বেড ফাঁকা পড়ে আছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত উপজেলা জুড়ে করোনা ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত মানুষের সংখ্যা ২৮ হাজার ৮৩০ জন। এর মধ্যে নিবন্ধনকৃত ১৫ হাজার পাঁচশ ৪২ জনকে প্রথম ডোজ ও ছয় হাজার ২৪০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হয়েছে। বাকি রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৮ জন। আট জনের নমুনা সংগ্রহে দুজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সুফল আসায় প্রথমদিকে ভ্যাকসিন নিতে অনাগ্রহ থাকলেও এখন নিজের ইচ্ছেই নিচ্ছেন এই ভ্যাকসিন। সুফল আসায় উপজেলা জুড়ে মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। টিকার রেজিস্ট্রেশনও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সকাল থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিবন্ধনকৃত জনসাধারণের উপচেপড়া ভিড় করতে দেখা যায়।
ভ্যাকসিন নিতে আসা কয়েকজন জানান, ভ্যাকসিন সম্পর্কে নানা কথা শোনায় মনের মধ্যে ভয় হওয়ায় প্রথমে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রতি আগ্রহ ছিল না। পরে ভ্যাকসিন এর নানা কার্যকারিতা ও ভ্যাকসিনের নানা সুফল শোনার পরই নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। পরে আমি ও আমার সপরিবার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করি। এসএমএস পাওয়ায় এসেছি ভ্যাকসিন নিতে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, করোনা সুরক্ষায় ৮৩ শতাংশ কার্যকর দুই ডোজ ভ্যাকসিন। তাই এই মহামারী করোনা সুরক্ষায় ভ্যাকসিনের বিকল্প নাই এটা মানুষ বুঝতে পেরেছে। তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভ্যাকসিন নেওয়ায় উপজেলায় করোনার নমুনা টেস্ট, সংক্রমণ হার ও রোগীর সংখ্যা অনেকাংশে কমে গেছে।