নিউজ-ডেস্ক:
প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতি এক নারীর অস্ত্রোপচারের (সিজার) ঘটনায় শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে। রিটে সংশ্লিষ্টদের অবহেলার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতেও আরজি জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিবসহ ৮ জনকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার গোরারবাগ গ্রামের জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে রিমা সুলতানা নিপার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন এ রিট করেন।
৪ সেপ্টেম্বর প্রসূতির শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠানো হলেও তারা জবাব দেননি। জবাব না পেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করলেন আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন। আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন জানান, জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে রিমা সুলতানা নিপা গত ৮ জুন সন্তান প্রসবজনিত বেদনার কারণে নোয়াখালীর ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, রোগীর অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলক। ৯ জুন চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। যদিও আলট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রসূতির জটিলতা ছিল না, এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল না।
১২ জুন প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তিনি বাড়িতে ফিরে যান। এরপর প্রসূতির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে ১৪ জুন আবার একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সেলাইয়ের জায়গায় ক্ষত দেখা দেয়। চিকিৎসকরা সেলাইতে ক্ষতের বিষয়টি স্বীকার করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে বিষয়টি জানানো হলে তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। চিকিৎসকরা প্রসূতিকে অবস্থা খুবই আশংকাজনক বিবেচনায় রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। পরে ২০ জুন বিআরবি হাসপাতালে ভর্তির পর দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। বিআরবি হাসপাতালে সুস্থ হন প্রসূতি।
এ হাসপাতালের চিকিৎকরা সুপারিশে বলেন, তার প্রথম অস্ত্রোপচার দরকার ছিল না। সবমিলিয়ে প্রসূতির চিকিৎসায় তার পরিবারের ব্যয় হয় ৫ লাখ টাকা। সঙ্গে ক্ষতিপূরণ ২০ লাখ টাকাসহ মোট ২৫ লাখ টাকা ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের এমনডি ফারজানা আক্তার ইতির কাছে দাবি করা হয়েছে।