মোঃ মোরশেদুল হক আকবরী:
ডায়াবেটিস হলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাবার ডায়াবেটিসের জন্য যেমন দায়ী। এছাড়া আরও অনেক কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়াবেটিস কখনো পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে খেতে পারেন তুলসী পাতা। তুলসী পাতা শুধু ঠাণ্ডা কাশিই ভালো করে তা নয়, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে খুব ভালো কাজ করে। এছাড়া এই পাতার রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ।
আসুন জেনে নেই তুলসী পাতার ওষুধিগুণ-
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
তুলসী পাতা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, ত্বকেররোগসহ হাজারো রোগ সারায় তুলসী পাতা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেও তুলসীর খুব ভালো কাজ করে।
কোলেস্টোরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
তুলসীর পাতা রক্তে শর্করার স্তর সঠিক রাখে ও কোলেস্টোরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টোরেলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তুলসী টাইপ -২ ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
মাথা ব্যথা
তুলসীর পাতায় স্ট্রেস কমানোর হরমোন কোর্টিসোল পাওয়া যায়। তাই তুলসীর পাতা চাপ কমাতে সাহায্য করে। মাথা ব্যথার সমস্যায় রোজ তুলসী পাতা খেতে পারেন।
লিভারের শক্তি বাড়ায়
লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রক্তে কোলেস্টরেল কমাতে তুলসী পাতা খেতে পারেন। তুলসীর পাতা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এবং গলা খুসখুসের সমস্যাও কমায়।
জ্বর কমাতে সাহায্য করে
জ্বর বা ফ্লুয়ের সময় তুলসী পাতা খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তুলসীর ব্যবহারে পেটের নানা সমস্যারও সমাধান হয়।
পেটের ক্ষত, বমি, গ্যাস
তুলসির পাতা পেটের ক্ষত, বমি, গ্যাস, পেট খারাপ হলে খেতে পারেন তুলসী পাতা।