স্টাফ রিপোর্টারঃ
ছয় মাস ধরে মাথা ব্যাথায় ভুগছিলেন নুরুন্নাহার (৪২)। যা ধীরে ধীরে চরম মাত্রায় রূপ নেয়। বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েও কার্যকর ফলাফল পাচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে অসাড়তায় ভুগতে শুরু করেন তিনি। নিয়ন্ত্রণ হারান ডান হাত ও পায়ের। এমন পরিস্থিতিতে দারস্থ হন এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. আনিসুল ইসলাম খানের। এভারকেয়ারের অভিজ্ঞ এ চিকিৎসক ওই রোগীর ব্রেইনের বাম পাশে বড় একটি টিউমারের কথা জানিয়ে সার্জারির পরামর্শ দেন।
ডা. আনিসুল ইসলাম খান জানান, রোগীর ব্রেইনের বাম পাশে বড় একটি টিউমার ছিল। রোগীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে টিউমার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জটিলতা দেখা দিয়েছিল। তাই অত্যন্ত জটিল হলেও সার্জারির মাধ্যমে এটি অপারেশন করাই এই রোগের উত্তম চিকিৎসা ছিল। এমন জটিল চিকিৎসায় সাফল্য লাভ এভারকেয়ারের বড় অর্জন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) চট্টগ্রামে এভারকেয়ার হাসপাতালের করফারেন্স রুমে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ারের এক অনুষ্ঠানে এমন সাফল্যের গল্প শুনালেন ডা. খান।
ডা. মো. আনিসুল ইসলাম খান এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের সিনিয়র কনসালটেন্ট এন্ড কো-অর্ডিনেটর অব ডিপার্টমেন্ট অব নিউরোসার্জারির দায়িত্বে আছেন।
জানা গেছে, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে বিশ্বমানের মডিউলার অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। যেখানে রয়েছে অত্যাধুনিক অপারেটিং মাইক্রোস্কোপ, এন্ডোস্কোপ, ক্রানিওটোম ও ড্রিল মেশিন, সি-আর্ম মেশিন। অপারেশন থিয়েটারের পাশেই রয়েছে সব ধরনের সুবিধা ও দক্ষ জনবলসহ সার্জিক্যাল আইসিইউ, যা নিউরো সার্জিক্যাল অপারেশন পরবর্তী সময়ের জন্য খুবিই জরুরি।
চট্টগ্রামে এখন ব্রেইনের বিভিন্ন অপারেশন, স্ট্রোক অপারেশন, হেড ইনজুরি, স্পাইন ইনজুরি, স্পাইনাল টিউমার পিএলআইডি, পেডিয়াট্রিক নিউরোসার্জারিসহ অন্যান্য নিউরো সার্জিক্যাল সেবা দিতে প্রস্তুত এভারকেয়ার হসপিটাল।
উল্লেখ্য, বন্দরনগর চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম ৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সুপার-স্পেশিয়ালিটি টারশিয়ার কেয়ার হাসপাতাল এটি। এখানে রয়েছে ২৪/৭ জরুরি বিভাগ ও আধুনিক আইসিইউ সেবা।
এছাড়া বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্তান, কেনিয়া ও নাইজেরিয়াসহ দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার বাজরজুড়ে তাদের সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এভারকেয়ার।