স্টাফ রিপোর্টারঃ
চীনকে নিয়মিত করোনা সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংক্রমণে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা দেওয়ায় প্রতিদিন রিয়েল-টাইম তথ্য শেয়ার করার এ আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ডিসেম্বরের ৭ তারিখে করোনা সংক্রান্ত কঠোর বিধি-নিষেধ তুলে নেয় চীন সরকার। এরপর থেকেই দেশটিতে করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার দেখা দেয়।
ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তারা বলেন, আমরা চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা রোগীদের ও মৃত্যুর সংখ্যা জানতে চাই। এরই মধ্যে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে টিকাদানের হার সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর দেওয়া এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলে, চীনা কর্তৃপক্ষকে নিয়মিতভাবে করোনার সুনির্দিষ্ট ও রিয়েল-টাইম তথ্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের উচিত, কী পরিমাণ টিকা আছে, টিকাদানের সংখ্যা, বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ ও ষাটোর্ধ্বদ নাগরিকদের মধ্যে টিকা দেওয়ার হার সম্বন্ধে তথ্য দেওয়া।
এসব বিষয়ে সহযোগিতা করতে চাওয়ার পাশাপাশি অন্য দেশের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের যে দ্বিধা বা ভয়, তা কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করতে চেয়েছে ডব্লিউএইচও।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সংস্থাটির প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা পর্ষদ কোভিড-১৯ এর বিবর্তন নিয়ে বৈঠকে বসবে, সেখানে ভাইরাল সিকুয়েন্সিং নিয়ে তথ্য উপস্থাপনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চীনা বিজ্ঞানীদের।
এদিকে, চীন থেকে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি পুনরায় বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে- এমন আশঙ্কায় এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইতালি, জাপান ও তাইওয়ান শনাক্তকরণ বা বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া চীনফেরত যাত্রীদের দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
চীন থেকে যুক্তরাজ্যে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বিমান ওড়ার আগেই স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নেগেটিভ শনাক্ত হওয়ার সনদ দেখাতে বলেছে ব্রিটিশ সরকার। ডব্লিউএইচও বলছে, যৌক্তিক কারণেই কিছু দেশ চীন থেকে যাওয়া যাত্রীদের ওপর নতুন বিধিনিষেধ দিচ্ছে।
সম্প্রতি চীন প্রতিদিন ৫ হাজার নতুন করোনারোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আক্রান্তদের অনেকেই সরকারের গণনার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। সে হিসাবে চীনে এখন প্রতিদিন ১০ লাখের কাছাকাছি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
অন্যদিকে, কোভিডে মৃত্যুর সংজ্ঞা বদলানোর পর চীনা কর্মকর্তারা ডিসেম্বর মাসজুড়ে করোনাভাইরাসে মাত্র ১৩ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছেন।