আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, কোভিড -১৯ এর জরুরি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্যে চলতি সপ্তাহের শেষদিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি বৈঠকে বসবে। ডব্ল্ওিএইচও ছয় মাস আগে এ জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।
ডব্লিউএইচও প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, সংস্থার জরুরি কমিটি মহামারি ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ঘোষিত জরুরি পরিস্থিতি পুণর্মূল্যায়নের জন্যে বৈঠকে বসবে।
ছয়মাস আগে ডব্লিউএইচও ‘পাবলিক হেলথ এমার্জেন্সি অব ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন’ ঘোষণা করে। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধির আওতায় এ ঘোষণায় সর্বোচ্চ সতর্কতার কথা বলা হয়েছিল। আর প্রতি ছয়মাস পর এ ঘোষণার পুণর্মূল্যায়ন অবশ্যই করা উচিত।
কোভিড- ১৯ এর আগে এবং ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি পরিবর্তনের পর ডব্লিউএইচও মাত্র পাঁচ দফা এ ধরণের ঘোষণা দিয়েছিল। একবার সোয়াইন ফ্লু, পোলিও, জাইকা এবং ইবোলার ক্ষেত্রে দু’বার।
টেডরস বলেন, এসবের মধ্যে বর্তমান মহামারি সহজে সবচেয়ে মারাত্মক। তিনি আরো বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি যখন আমি ‘পাবলিক হেলথ এমার্জেন্সি অব ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন’ ঘোষণা করি তখন চীনের বাইরে করোনা সংক্রমিত লোকের সংখ্যা ১শ’রও কম ছিল এবং কোন মৃত্যু ছিল না।
কিন্ত এরপর বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং এ পর্যন্ত মারা গেছে ছয় লাখ ৫০ হাজার লোক।
তিনি বলেন, কোভিড -১৯ আমাদের বিশ্বকে পাল্টে দিয়েছে। এটি মানুষে মানুষে যেমন নৈকট্য তৈরি করেছে তেমনি দূরেও সরিয়ে দিয়েছে।
টেডরস বলেন, গত ছয়মাস ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশকে নিরলসভাবে সমর্থন জুগিয়ে আসছে।
যদিও কেউ কেউ ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির বিরুদ্ধে চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে।