স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজধানী ঢাকার সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়ে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণের হারে ঢাকার পরেই রয়েছে চট্টগ্রাম। স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করে অবাধ চলাফেরাও করোনা ছড়িয়ে পড়ায় ভূমিকা রাখছে। বিয়ে বাড়ি, বিনোদন কেন্দ্র ও গণপরিবহন সবখানেই ভিড়। রাস্তায় বের হলে বোঝার উপায় নেই করোনা বলে কিছু আছে!
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন করোনা শনাক্তের ২০ শতাংশ ঢাকায়, ১০ শতাংশ চট্টগ্রামে আর সারাদেশে ৭০ শতাংশ।
গত চার দিনে চট্টগ্রামে শনাক্ত হয়েছে ৭৫৪ জন। তার মধ্যে ১৭ মার্চ ১৮৩ জন, ১৮ মার্চ ১৫৯ জন, ১৯ মার্চ ২১২ ও ২০ মার্চ ২০০ জন। শনিবার ২০ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্ত ৩৭ হাজার ৪৪০ জন। সর্বমোট মৃত্যু হয়েছে ৩৮৩ জনের। তবে চলতি মার্চ মাসে করোনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে অফিসিয়ালি নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২০০ জন হলেও সংগ্রহকৃত সব নমুনার ফলাফল এতে যুক্ত হয়নি বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ল্যাবগুলোতে নমুনা জটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক ল্যাব টেকনেশিয়ান জানান, মাঝখানে নমুনা সংগ্রহের একদিন পর ফলাফল জানানো যেতো। এখন দুই থেকে তিনদিন সময় লাগছে। নমুনার চাপ আবার বাড়ছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, প্রতিদিনেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সরকার হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখা। কিন্তু যত কিছুই করি, মানুষের সচেতনতা প্রধান বিষয়। জনগণ যদি সচেতন হন, আমাদের সব প্রচেষ্টা সফল হবে।
ঢাকার পরেই চট্টগ্রামে সংক্রমণের হার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সংক্রমণরোধে প্রশাসনকে আরও জোরালে ভূমিকা রাখতে হবে।’