বিদেশ ডেস্ক:
অন্তত পক্ষে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকার অতিরিক্ত বুস্টার ডোজ প্রয়োগ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বুধবার সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকাদানের ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে। আর তা কমিয়ে আনতেই বুস্টার ডোজের প্রয়োগ বন্ধ রাখার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগের উপর জোর দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। আর সেই সময়েই তা প্রয়োগ বন্ধ রাখার তাগিদ দিলো ডব্লিউএইচও।
ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে নিজেদের জনগণকে রক্ষায় সব সরকারের উদ্বেগ বুঝতে পারছি। কিন্তু আমরা মেনে নিতে পারি না যে, যেসব দেশ ইতোমধ্যে বিশ্বের বেশিরভাগ টিকা ব্যবহার করে ফেলেছেন তারা তার চেয়ে বেশি টিকা নিয়ে নেবেন।’
ডব্লিউএইচও বলছে, মে মাস পর্যন্ত বেশি আয়ের দেশগুলোর প্রতি একশ’ জন মানুষ ৫০ ডোজ করে টিকা নিয়েছিলো। বর্তমানে এই পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোর প্রতি একশ’ জন মাত্র ১.৫ ডোজ ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে। এর মূল কারণ ভ্যাকসিনের ঘাটতি। টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে উচিত হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভ্যাকসিন ধনী দেশে যাওয়ার পরিবর্তে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভ্যাকসিন যাওয়া।’
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় বুস্টার ডোজের প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মতভেদ রয়েছে। তারপরও বেশ কয়েকটি দেশ অতিরিক্ত এই ডোজ প্রয়োগ ইতোমধ্যে শুরু করেছে কিংবা অচিরেই শুরু করতে যাচ্ছে।
অলাভজনক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ার্স এর মেডিক্যাল উপদেষ্টা এলিন হফম্যান দাহল বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব ঘটলেও আমরা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে টিকা না দিয়ে রাখি তাহলে ভবিষ্যতে আরও বেশি টিকার প্রয়োজন পড়বে।