স্টাফ রিপোর্টার:
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বইমেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে।
সকাল ৮টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। এতে সভাপতিত্ব করবেন কবি শামীম আজাদ।
বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও কাল বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে অমর একুশে বক্তৃতা ২০২৪। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অমর একুশে বক্তৃতা প্রদান করবেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
অপরদিকে আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলায় ২০তম দিনে নতুন বই এসেছে ৯৯টি। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ : জামাল নজরুল ইসলাম’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজ্ঞানবক্তা আসিফ।
তিনি বলেন, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গাণিতিক, পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং বিশ্ববরেণ্য কসমোলজিস্ট। আন্তর্জাতিক মহলে তিনি জে. এন. ইসলাম হিসেবে পরিচিত। পঞ্চাশ বছরের বৈজ্ঞানিক জীবনে তিনি ধ্রুপদি সব বিজ্ঞান-ধারার ওপর কাজ করে গেছেন। তন্মধ্যে আছে কোয়ান্টাম ক্ষেত্রতত্ত্ব, আপেক্ষিকতার সূত্র, নক্ষত্রের গঠন ও মহাবিশ্ব তত্ত্ব।
এই প্রাবন্ধিক আরও বলেন, তার গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল আপেক্ষিকতাবাদ ও মহাবিশ্বতত্ত্ব। তার লিখিত দ্য আলটিমেট ফেট অব দ্য ইউনিভার্স গ্রন্থটি ফরাসি, ইতালীয়, জার্মান, পর্তুগিজসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। পৃথিবীর বড়ো বড়ো বিশ্ববিদ্যালয়ে বইটি পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয়।
আলোচনায় অংশ নেন সুব্রত বড়ুয়া এবং আরশাদ মোমেন। তারা বলেন, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলামের বিজ্ঞানচিন্তা ও গবেষণার পরিসর ছিল অনেক বিস্তৃত। তিনি আন্তর্জাতিক বুদ্ধিবৃত্তিক পরিমণ্ডলে বিশিষ্ট অবস্থান অধিকার করেছিলেন। তিনি কেবল বড়ো বিজ্ঞানীই ছিলেন না, একজন সংস্কৃতিবান ও দেশপ্রেমিক মানুষও ছিলেন। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা থেকে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে যোগদান করেন। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা তাকে কখনও সমাজ ও মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করেনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম বড়ো বিজ্ঞানী হয়েও ছিলেন নিরহংকারী, অত্যন্ত আন্তরিক, সদাশয় ও সরল মনের অধিকারী একজন মানুষ। তিনি বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জামাল নজরুল ইসলামের বিজ্ঞানচেতনা দ্বারা উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি আতাহার খান, কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল, গবেষক চৌধুরী শহীদ কাদের এবং লেখক ও পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল।